জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জীঃ- প্রায় দু’বছর হতে চলল এই রাজ্যে একশ’ দিনের কাজ বন্ধ। কাজ করার পরেও প্রাপ্য মজুরি পায়নি জব কার্ড হোল্ডাররা। আবাস যোজনার অর্থও বন্ধ। ফলে বাড়ি তৈরির কাজ মাঝপথে থমকে আছে। রাজ্যের পক্ষ থেকে প্রাপ্য বরাদ্দের জন্য বারবার চিঠি করা হলেও কোনো লাভ হয়নি। বাধ্য হয়ে তৃণমূলের পক্ষ থেকে গত ২ রা ও ৩ রা অক্টোবর দিল্লিতে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক ব্যানার্জ্জীর নেতৃত্বে দলের নেতা-মন্ত্রী সহ বঞ্চিত মানুষরা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতিমন্ত্রীর কার্যালয়ের সামনে ধর্ণায় বসে। ধর্ণাকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট অবাঞ্ছিত ঘটনা ঘটে। তৃণমূলের অভিযোগ অভিষেক সহ তাদের নেতা-মন্ত্রীদের দিল্লি পুলিশ হেনস্থা করেছে। তারই প্রতিবাদে গত ৪ ঠা অক্টোবর রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে তৃণমূলের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়।
গুসকরা শহর তৃণমূল, যুব তৃণমূল ও তৃণমূল ছাত্র পরিষদের উদ্যোগে গুসকরা বাসস্ট্যান্ডে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় অংশগ্রহণ করে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সহ সভাপতি মল্লিকা চোংদার, শহর সভাপতি দেবব্রত শ্যাম, যুব সভাপতি কার্তিক পাঁজা, শহর ছাত্র পরিষদ সভাপতি সৌম্যদীপ চ্যাটার্জ্জী, তন্ময় গোস্বামী, প্রতিটি কাউন্সিলর, ভাইস চেয়ারম্যান বেলি বেগম, চেয়ারম্যান কুশল মুখার্জ্জী সহ দলের নেতা-কর্মীরা।
গলসি ২নং ব্লক তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে অপর একটি সভা হয় খানাজংশন বাজারে। বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে প্রায় ২০০ জন দলীয় কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে এই প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাটিনন্দী অঞ্চলের প্রধান বনশ্রী যশ, অঞ্চল সভাপতি কানাইলাল চৌধুরী ও যুব সভাপতি শেখ ইমরান সহ অন্যান্যরা। এখানে রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে প্রতিবাদ করা হয়।
অন্যদিকে তৃণমূল যুব কংগ্রেসের উদ্যোগে বীরভূমের তারাপীঠ মন্দিরের ভিআইপি গেটের সামনে আয়োজিত শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সভায় অংশগ্রহণ করে সিদ্ধার্থ রায়, সজল রায়, অচিন্ত্য ভট্টাচার্য্য, মিঠুন মল্লিক, মলয় মণ্ডল প্রমুখ।
প্রতিটি সভায় বক্তারা বিজেপির ঘৃণ্য আচরণের তীব্র প্রতিবাদ করেন এবং অবিলম্বে প্রাপ্য বকেয়া মিটিয়ে দেওয়ার দাবি তোলে।