সূচনা গাঙ্গুলি,মেদিনীপুরঃ- আবার অভিনব দৃশ্যের সাক্ষী থাকার সুযোগ পেল বাংলার সাহিত্য প্রেমী মানুষ। পত্রিকা প্রকাশ অনুষ্ঠানে কাব্য-সাহিত্য জগতের পরিচিত মুখদের সঙ্গে মঞ্চে দেখা গেলো শিশু কবিদের। সৌজন্যে ‘বিনোদন সাহিত্য পত্রিকা’ গোষ্ঠী।
৮ ই অক্টোবর মেদিনীপুর শহরের বিদ্যাসাগর হলে ‘বিনোদন সাহিত্য পত্রিকা’র পঞ্চম বর্ষের শারদ সংখ্যা প্রকাশিত হয়।হলঘরে উপস্থিত ছিলেন পরিচিত মুখের প্রায় দুই শতাধিক কবি-সাহিত্যিক। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে একে একে মঞ্চে উঠে আসে আদিত্য সাহু, শ্রেয়া সাঁতরা, আরাধ্যা ভট্টাচার্য, সুদীপ্ত ভৌমিক, সমহিতা বিশ্বাস, শ্রীময়ি ঘোষের মত শিশু কবিরা। এদের গড় বয়স ১১-১২ বছর। প্রবীণদের পাশে এইসব শিশুদের দেখে মনে হয় মঞ্চে যেন চাঁদের হাট বসেছে। পরিচিত কবিদের সঙ্গে সঙ্গে এদের অনেকের লেখা এই বছরের শারদীয়া সংখ্যায় স্থান পেয়েছে।
শুধু মঞ্চে উপস্থিত থাকা নয় প্রদীপ প্রজ্বলন করে অনুষ্ঠানের শুভ সূচনা করেন এইসব শিশু-কবিরা। তাদের দিকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় মঞ্চে উপস্থিত অন্যান্যরা।
উপস্থিত কবিদের স্বরচিত কবিতা পাঠ ও সাহিত্যের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা অনুষ্ঠানটিকে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয় । উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রত্যেক কবি-সাহিত্যিকের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিনোদন শারদ সংখ্যা-১৪৩০ ও সাহিত্য রত্ন স্মারক। উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে মর্যাদা সহকারে অতিথিদের বরণ করে নেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ‘বিনোদন সাহিত্য পত্রিকা’র সম্পাদক তথা কবি-সাহিত্যিক সুশান্ত ঘোষ।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ভবেশ বসু, বরুণ চক্রবর্তী, সুনীল মাজি, দিলীপ রায়, কুমারেশ ঘোষ, অমিয় পাল, মালবিকা পাল, দেবরাজ চক্রবর্তী, সৈয়দ খায়রুল আলম, নুরুল শিপার খান, চন্দন ভট্টাচার্য্য, বকুল বৈরাগী, অংশুমান চক্রবর্তী, নিগমানন্দ মণ্ডল সহ আরও অনেকে। এছাড়া মুম্বই থেকে এসেছিলেন প্রবীণ কবি রবি দত্ত, জামসেদপুর থেকে রুমা ভট্টাচার্য্য, অনুমিত্রা রায় প্রমুখ।
কলকাতা শহর থেকে অনেক দূরে অনুষ্ঠান হলেও যেভাবে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কবি-সাহিত্যিকরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছেন তার জন্য সুশান্ত বাবু প্রত্যেকের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন- শারদীয় উৎসবের প্রাক্কালে সংখ্যাটি প্রকাশ করতে পেরে খুবই ভাল লাগছে। তার আশা আজকের শিশু কবিদের মঞ্চে দেখে অন্যান্যরা প্রেরণা পাবে এবং আগামী দিনে তারাও তাদের অনুষ্ঠানে শিশুদের গুরুত্ব দেবে।