নিজস্ব সংবাদদাতা,দুর্গাপুরঃ- ভারতের জাতীয় ভাষা হিসেবে হিন্দির প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন ও তার প্রচার প্রসারের লক্ষ্যে প্রতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটি হিন্দি দিবস হিসেবে পালিত হয়। প্রসঙ্গত দীর্ঘ আলোচনার পর ১৯৪৯-এর ১৪ সেপ্টেম্বর হিন্দিকে সরকারী ভাষার মর্যাদা দেওয়া হয়। এরপর ১৯৫৩ সাল থেকেই প্রতি বছর ১৪ সেপ্টেম্বর দিনটি দেশ জুড়ে হিন্দি দিবস হিসাবে পালিত হয়। এবং এর পাশাপাশি সরকারী ভাষা হিসেবে হিন্দি সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করতে ১৫ দিন ধরে হিন্দি পাক্ষিক কর্মসূচি পালন করা হয়। আর এই হিন্দি পাক্ষিক উপলক্ষ্যে দেশ জুড়ে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলিতে নানা হিন্দি অনুষ্ঠান যেমন কবিতা সম্মেলন, সেমিনার, সরকারী ভাষা সম্মেলন ও প্রতিযোগীতার আয়োজন করা হয়। এবার হিন্দি পাক্ষিক কর্মসূচি পালিত হয় ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ২৯ সেপ্টেম্বর।
ন্যাশনল ইনস্টিটিউট অফ টেকনলজি দুর্গাপুরেও এবার মহা সমারোহে পালিত হয় হিন্দি পাক্ষিক কর্মসূচি। আর এই কর্মসূচির সমাপন অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয় গত ৫ অক্টোবর। আর এই সমাপন অনুষ্ঠান উপলক্ষ্যে দুর্গাপুর এনআইটিতে একটি বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করা হয়েছিল, যার বক্তা ছিলেন কলকাতার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনিক্যাল টিচার ট্রেনিং অ্যান্ড রিসার্চের পরিচালক অধ্যাপক দেবী প্রসাদ মিশ্র। অধ্যাপক মিশ্র “প্রাচীন ভারতীয় প্রযুক্তি” এর উপর একটি বিশেষজ্ঞ বক্তৃতা দেন, যেখানে তিনি কেদারনাথের মতো মন্দিরের নকশা, সিন্ধু সভ্যতার পাথরের ভাস্কর্য এবং আগুনের আবিষ্কারে প্রযুক্তির প্রয়োগের বিষটির উপর আলোকপাত করেন। এমনকি প্রাচীন গ্রন্থ বেদেও বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক নীতির উল্লেখ আছে বলে বক্তৃতায় উল্লেখ করেন অধ্যাপক মিশ্র।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এনপিটিআই-এর ডিজি অধ্যাপক ত্রিপ্ত ঠাকুর। দুর্গাপুর এনআইটি’র ডিরেক্টরঅধ্যাপক অরবিন্দ চৌবে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সকলকে স্বাগত জানান ও উদ্বোধনী বক্তব্য দেন। এর পাশাপাশি এনআইটি দুর্গাপুরের হিন্দি পাক্ষিকে আয়োজিত বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহনকারী ও বিজয়ী শিক্ষক, কর্মচারী এবং ছাত্রদের হাতে এদিন পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। সমগ্র অনুষ্ঠানটি সুন্দর ভাবে সমন্বয় ও সঞ্চালনা করেন দুর্গাপুর এনআইটি’র জনসংযোগ আধিকারিক ডাঃ শ্রী কৃষাণ রাই। পাশাপাশি অধ্যাপক মিশ্র এবং অন্যান্য বিশিষ্ট ব্যক্তিদের ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন তিনি। এদিনের এই বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের সকল পড়ুয়া, শিক্ষক কর্মচারীরা অংশ গ্রহন করে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমণ্ডিত করে তোলেন।