eaibanglai
Homeএই বাংলায়জবর দখল…..(১)… এডিডিএ'র অভিযান কি আলিবাবার কিস্যা ?

জবর দখল…..(১)… এডিডিএ’র অভিযান কি আলিবাবার কিস্যা ?

মনোজ সিংহ, দুর্গাপুরঃ- এ যেন সেই ‘আলিবাবা আর চল্লিশ চোরে’র গল্প ! শহরের সিটি সেন্টারের জবর দখল উচ্ছেদের জন্য আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন সংস্থা’র রকম সকম দেখে ‘আলিবাবা’র কিস্যা মনে পড়াটাই স্বাভাবিক। কারণ-গল্পের সেই ডাকাত সরদারের দেওয়ালে দাগ কাটার মতোই গোটা সিটি সেন্টারে নিছক নিছক আটটি দোকানে ঢ্যারা কেটে জবরদখলদারী চিহ্নিত করেছে এডিডিএ। যা নিয়ে কেউ কেউ মুখে চেপে হাসছেন যেমন, তেমনি কেউ কেউ রাজ্য সরকারি সংস্থাটির কাজকর্মের নেপথ্যে ‘অন্য গল্পেও’ খোঁজও পাচ্ছেন!

শহর দুর্গাপুরের বিধাননগর, বিশ্বকর্মা নগরে ‘হিম্মত’ দেখিয়ে মাসে মাসে ভাঙচুর চালানোর ড্রামা করে এডিডিএ। বিগত এক বছরে কিছু বেআইনি হোটেল, দোকান, ঝুপড়িতে বুলডোজার চালিয়ে নিজের অস্তিত্বের জানান দিয়েছিল এডিডিএ। আশ্চর্যের বিষয় হল- এডিডিএ’র তাণ্ডব চালানো সেই সেই জায়গায় সেই সেই হোটেল, দোকানঘর ফের মাথা তুলেছে, চলছেও রমরমিয়ে।

এযাবৎ কাল এডিডিএ’র জবরদখল উচ্ছেদ অভিযান বিধাননগর, ফুলঝোড়, বিশ্বকর্মানগরেই সীমাবদ্ধ থেকেছে। এদিকে, এডিডিএ ভবনের নিচতালার প্রায় গা ঘেঁষে এক মাইল দৈর্ঘ্য- প্রস্তে রাতারাতি গজিয়ে উঠেছে অগুন্তি বেআইনি ফলের দোকান, ফুলের দোকান, মুদিখানা, কাপড়ের দোকান, মোবাইল রিচার্জ সেন্টার, হাই প্রোফাইল ক্লাবঘর, রেস্টুরেন্ট, ঢাবা, ফাস্টফুড সেন্টার, কি নেই সেই তালিকায়!

এসবেরই বার বাড়ন্ত হয়েছে গত পাঁচ-ছ বছরে আগে। আগে নিয়ম করে জবরদখলল উচ্ছেদ অভিযান চালানো হতো। দু-তিন বছরে একবার ভেঙ্গে আইনের শাসন কায়েম করে বুঝিয়ে দেওয়া হতো- সরকারি জায়গায় বছরভর ব্যবসা করে খেলেও জমির মালিক এডিডিএ। এখন হয়েছে উলট পূরাণের যুগ। যে যেমন করে পাচ্ছে লুঠে খাচ্ছে। টাকা নিয়ে দোকানঘর বসানো হচ্ছে। দোকানঘর বানিয়ে তা আবার অন্যজনকে দেদার ভাড়াও দেওয়া হচ্ছে। হরিলুঠের জামানায় কি আর বলবো ?” আক্ষেপ সিটি সেন্টারের দুই প্রবীণ নাগরিক সুকান্ত দাস আর চন্দন ঘোষের। তারা আরো অভিযোগ করেন “এখন কে কাকে উচ্ছেদ করবে ? সব মিলেমিশে ভাগ করে খাচ্ছে আর এডিডিএ কে নিজের মনমর্জি চালাতে গিয়ে দাগ দিয়ে বলির বকরা বানাচ্ছে আটটি দোকানঘরকে।”

বিষয়টিতে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের স্থানীয় ব্লক সভাপতি উজ্জ্বল মুখার্জির বক্তব্য, “এটা সত্যি কথা যে কিছু মানুষ বহু বছর ধরে দোকান চালিয়ে সংসার চালাচ্ছেন। কিন্তু এটাও তো সত্যি কথা- একইভাবে কি চিরটাকাল চলতে পারতা? কয়েকজন আমার কাছে এসেওছিলেন। তাদেরকে সাফ জানিয়ে দিয়েছি- সরকারি কাজে হস্তক্ষেপ আমরা করতে পারিনা।”

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments