সংবাদদাতা, বাঁকুড়া:- মহাপ্রভু শ্রী চৈতন্যদেব বলেছিলেন “পৃথিবীতে আছে যত নবরাদিগ্রাম, সর্বত্র প্রচার হইবে মোর নাম।” ঠিক সেই ভাবেই হরিনাম পৌঁছে দিতে দীর্ঘ ১১ মাস পর বাঁকুড়ায় পৌছলো ভারত ভ্রমণকারী রথ। পায়ে হেঁটে, পদ যাত্রার মাধ্যমে এই রথ বাঁকুড়ায়। রবিবার শুরু হয় রথ কে সাজানোর প্রস্তুতি। অতিকায় চার বলদের সাহায্যে টানা হয় এই রথ। এই পদযাত্রার নাম শ্রী গৌর মন্ডল ভূমি পদযাত্রা। ১৯৮৪ সালে দ্বারিকায় হরিনাম প্রচারের জন্য শুরু হয় এই পদযাত্রা।
৪০ বছর ধরে সারা পৃথিবীতে চলেছে পায়ে হেঁটে হরিনাম প্রচার। বাঁকুড়ায় যে রথটি পৌঁছেছে সেই রথটি ২০২৩ সালের রাধা অষ্টমীর দিন শ্রীধাম মায়াপুর থেকে যাত্রা শুরু করে নদিয়া, নবদ্বীপ, মায়াপুর ধাম পরিক্রমা করে পূর্ব এবং পশ্চিম বর্ধমান হয়ে পৌঁছালো বাঁকুড়া। পায়ে হেঁটে এ যাত্রা সম্পন্ন করতে সময় লেগেছে ১১ মাস। উদ্দেশ্য ভগবত গীতা, হরিনাম এবং সনাতন ধর্মকে মানুষের কাছে আরও নিবিড় ভাবে পৌঁছে দেওয়া। জগতপুরুষ শীল প্রভুপাদ ৭০ বছর বয়সে মহাপ্রভুর নাম প্রচার করতে গিয়েছিলেন আমেরিকায়। তার নির্দেশ মতোই পশ্চিমবঙ্গের প্রতিটি গ্রামে গঞ্জে চলছে এই রথ নিয়ে পদযাত্রা।
চার চারটি অতিকায় কনকরাজ টেনে নিয়ে যায় এই রথ। গ্রামে গঞ্জে থেকে শহরে, সর্বত্র পোঁছে দেয় হরিনাম। রথ নয়! গরু দেখতে ভিড় জমালেন মানুষ। তুললেন সেলফিও। চারটি অতিকায় সুদর্শন কনকরাজ এর থেকে চোখ সরাতে পারছিলেন না বাঁকুড়াবাসী। কোথায় আছে যেখানেই হরিনাম সংকীর্তন সেই জায়গাটায় বৃন্দাবন। প্রভু রাসউৎসব দাস জানান, “বাঁকুড়ার ভূমিতে পৌঁছল এই রথ। বাঁকুড়ার মাটি ধন্য হল। আজ বাঁকুড়া হল বৃন্দাবন।”
রথ যাত্রার পবিত্র দিনে, ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গ ভ্রমণকারী এই রথ পৌঁছল বাঁকুড়ায়। গরু দিয়ে টানা ঐতিহাসিক এই রথ দেখল বাঁকুড়ার মানুষ। সূত্রের খবর অনুযায়ী বাঁকুড়ার পর মালদা মুর্শিদাবাদ হয়ে, উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়ি, কুচবিহার পদযাত্রায় যাবে রথটি।