সোমনাথ মুখার্জী, অন্ডালঃ রবিবার উখড়া পঞ্চায়েতের জামাইপাড়ায় নর্দমা নির্মানের তথ্য সম্বলিত লাগানোর সরকারি বোর্ড ঘিরে তৈরি হয়েছিল রহস্য। পাড়ার বাসিন্দারা দাবি করেছিলেন তাঁদের পাড়ায় কোনও নর্দমা নির্মাণ হয়নি। ঠিক কী উদ্দেশ্যে এই বোর্ডটি লাগানো হল সেই নিয়েও তাঁরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন । ওই দিনই সন্ধ্যাবেলায় পাড়ার পঞ্চায়েত সদস্য প্রিয়ঙ্কা হাজরা পালের বাড়িতে গিয়ে বিক্ষোভও দেখান জামাই পাড়ার বাসিন্দাদের একাংশ । বিক্ষোভ ঘিরে তৈরি হয়েছিল উত্তেজনা পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে শান্ত হন বিক্ষোভকারীরা। সোমবার ঘটনার তদন্ত করার জন্য একটি তদন্তকারী দল ঘটনাস্থলে পাঠান অন্ডালের বিডিও ঋত্বিক হাজরা। তাদের দেওয়া রিপোর্টের ভিত্তিতে বিডিও সাহেব সে দিন সাংবাদিকদের জানান কোনও দুর্নীতি হয়নি। নিয়ম মেনেই নর্দমা নির্মাণের কাজ চলছে এলাকায়। সঙ্গে তিনি সাংবাদিকদের কাঁচা ড্রেন নিমানের কয়েকটি ছবিও পাঠান। মঙ্গলবার সেই ছবির সত্যতা যাচাইয়ের জন্য ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় যে ছবিগুলি তুলে তদন্তকারী দলের সদস্যরা বিডিও সাহেবকে দেখিয়েছেন সেগুলি আসলে পাশের সুভাষ ইনক্লাইন লাগোয়া বাগান পাড়ার ছবি। মাসখানেক আগে সেখানে মাটি কেটে এই কাঁচা নর্দমা তৈরি করা হয়েছে বলে জানান বাগান পাড়ার বাসিন্দা বিপদ বাউড়ি, ধীরেন মাঝিরা। তাঁরা জানান সোমবার বিডিও অফিস থেকে কয়েকজন অফিসার ড্রেন টি দেখতে এসেছিলেন তাঁরা মোবাইলে ছবিও তুলেন। নর্দমা নির্মাণ নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন যেখানে বোর্ড লাগানো হয়েছে সেই জামাই পাড়ায় সাম্প্রতিক কালে কোনও নর্দমা নির্মাণ হয়নি । আবার তদন্তকারী দলকে জামাই পাড়ায় না এনে দেখানো হল পাশের বাগান পাড়ার কাঁচা নর্দমা। সেই নর্দমার ছবি তুলেই কাজে কোনও দুর্নীতি হয়নি বলে তদন্তে আসা প্রতিনিধিরা রিপোর্ট দিলেন বিডিওর কাছে। গোটা ঘটনাটি ঘিরে রহস্য দানা বেঁধেছে বাসিন্দাদের মনে। কেউ কেউ এর পেছনে বড়সড় দুর্নীতির প্রশ্নও তুলেছেন। দুর্নীতি ধামাচাপা দেওয়ার ষড়যন্ত্র চলছে বলেও তাঁদের দাবি। তাই মঙ্গলবার গোটা বিষয়টি তদন্ত করে আসল সত্য উদ্ঘাটনের জন্য বিডিও ঋত্বিক হাজরার কাছে গণস্বাক্ষর করে জমা দেন জামাই পাড়ার বাসিন্দারা। কাজল ঘোষ গোপাল দেরা জানান আমরা চাই সত্যটা তদন্তে উঠে আসুক সেই দাবি জানিয়ে বিডিওর কাছে স্মারকলিপি দিয়েছি। সুবিচার না মিললে আগামী দিনে মহকুমা শাসক, জেলাশাসক এমনকী মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির কাছেও বিষয়টি জানানো হবে বলে তাঁরা জানান।