লাউদোহা, এই বাংলায়ঃ অন্ডালের পাটশাওড়া গ্রামে তৃণমূলের সিন্ডিকেট অফিসে বিজেপি কর্মীদের তালা ঝোলানোর জের। তৃণমূল কংগ্রেস তথা জেলা সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারীর অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার রাতে পাটশাওড়া গ্রামে পুলিশি অভিযানের ঘটনায় জনতা-পুলিশ খন্ডযুদ্ধে তোলপাড় হয়ে ওঠে এলাকা। ঘটনার সূত্রপাত কয়েকদিন আগের। স্থানীয় বিজেপি কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ ছিল এলাকায় তৃণমূল পরিচালিত সিন্ডিকেট অফিস থেকে প্রত্যেক মাসে স্থানীয় শ্রমিকদের কাছ থেকে মাসিক ৩০ টাকা তোলা বাবদ আদায় করা হচ্ছে। এর প্রতিবাদে গত রবিবার এলাকার বিজেপি কর্মীরা ওই সিন্ডিকেট অফিসে তালা মেরে দেয় বলে অভিযোগ। ঘটনা তৃণমূল জেলা সভাপতি জীতেন্দ্র তিওয়ারির কানে পৌঁছালে জীতেন্দ্র তিওয়ারি পুলিশকে ৪৮ ঘন্টা সময়সীমা দিয়েছিলেন অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীদের গ্রেফতারীর জন্য। সেইমতো সোমবার রাতে ফরিদপুর থানার বিশাল পুলিশবাহিনী পাঠশাওড়া গ্রামে অভিযান চালাতে গেলে জনতার রোষের মুখে পড়ে। পুলিশকে দেখেই এলাকার বাসিন্দারা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইঁট ছুঁড়তে শুরু করে। ইটের আঘাতে মারাত্মক জখম হন সার্কেল ইন্সপেক্টর অমিতাভ সেন, ওসি অনির্বান বাসু (ফরিদপুর), বুদ্ধদেব গায়েন (এএসআই)। রক্তাক্ত অবস্থায় তাদের তিনজনকে দুর্গাপুরের হেলথ ওয়ার্ল্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সার্কেল ইন্সপেক্টর অমিতাভ সেনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। ঘটনার জেরে মঙ্গলবার সকাল থেকে আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি(পুর্ব) অভিষেক মোদীর নেতৃত্বে এলাকায় বিশাল পুলিশ অভিযান চলে, নামানো হয় র্যাফ। কালু বাউরী ও চিরঞ্জিত বাউরী নামে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যদিকে বিজেপির অভিযোগ, তৃণমূলের গুন্ডারা বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে রাতের অন্ধকারে হামলা চালাচ্ছে। বিজেপি কর্মীরা তৃণমূলের সিন্ডিকেট অফিসে তালা মেরে দেওয়ার জন্য তৃণমূলের নির্দেশে পুলিশ বেছে বেছে বিজেপিকর্মীদের হেনস্থা করছেন।