মনোজ সিংহ, দুর্গাপুরঃ- মাত্র ৭২ ঘন্টা আগেই দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লাস্ট ফার্নিস কনভার্টারে ব্লাস্টে করে গুরুতর জখম হয়েছিলেন এক স্থায়ী শ্রমিক সহ চার অস্থায়ী শ্রমিক। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই পাঁচ শ্রমিক এখনো চিকিৎসাধীন রয়েছেন দুর্গাপুরের বেসরকারি হাসপাতালে। এই দুর্ঘটনার ফলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ হিসেব-নিকেশ করার আগেই আজ ফের এক বড়োসড় দুর্ঘটনার শিকার হল দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার।
সুত্র মারফত জানা গেছে আজ বিকেলে দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার স্ট্রাইপার-বে, রেল ওয়াগেন লাইনচ্যুত হওয়ার ফলে রেল লাইনের পাশে থাকা একটি ওভার হেড স্ট্রাকচারে সজোরে ধাক্কা মারে। দুর্ঘটনা তীব্রতা এতটা ছিল যে ওভারহেড স্ট্রাকচারটি সম্পূর্ণ দুমড়ে মুছড়ে গিয়েছে। রেল লাইনের পাশেই থাকা বিভিন্ন রাসায়নিক বহনকারী পাইপ ও গ্যাসের পাইপলাইন গিয়েছে যা কোক ওভেনকে চালানোর জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে। সুত্র মারফত জানা গেছে দুর্ঘটনার ফলে যে ওভারহেড স্ট্রাকচারটি ভেঙ্গে গিয়েছে, ঠিক তার পাশেই রয়েছে রাসায়নিক ও গ্যাস বহনকারী পাইপ লাইনের ওভার হেড স্ট্রাকচার। দুর্ভাগ্যবশত কোন ক্রমে যদি রেল ওয়াগেনের ধাক্কা লাগতো, সেই ওভার হেড স্ট্রাকচারে তাহলে আরো বড় দুর্ঘটনা হওয়ার আশঙ্কা ছিল ইস্পাত কারখানায় বলে জানিয়েছেন শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে এসে সরজমিনে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন তারা।
এদিকে গত বৃহস্পতিবার দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার ব্লাস্ট ফার্নিস কনভার্টারে ব্লাস্টে দুর্ঘটনার জন্য দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করলো ইস্পাত কর্তৃপক্ষ আজকে। কর্তব্যে গাফিলতির কারণেই সাসপেন্ড বলে ইস্পাত কর্তৃপক্ষের দাবি। সিজিএম(স্টিল) বি পি রাও এবং ডিএসও (এসএমএস) সৌমেন চট্টোপাধ্যায়কে কর্তব্যে গাফিলতির কারণে সাসপেন্ড করা হয়।
দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার শ্রমিক সংগঠনের এক নেতা বলেন, “দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সুরক্ষা ব্যবস্থা তলানিতে ঠেকেছে। দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার সেফটি বিভাগের ঢিলা ঢালা মনোভাবের ফলেই প্রতিদিন দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানায় দুর্ঘটনা ঘটেই চলেছে। দুর্ঘটনা যতবারই ঘটে তার সঠিক তদন্ত হয় না।”