নিজস্ব সংবাদদাতা, বর্ধমান: সেই বর্ধমানের শক্তিগড়। মাঝে ২৮ টি মাস। ফের গাড়ী দাঁড়ালো বীরভূমের বাদশা অনুব্রত মণ্ডলের। গরু, কয়লা পাচার মামলায় সিবিআইয়ের অভিযুক্ত তিনি। এদিন সন্ধ্যায় মেয়েকে সঙ্গে নিয়ে গাড়িতে বসেই ঝালমুড়ি , চা খেলেন সেই আগের মেজাজেই। এরই মাঝে, গত বছর এই শক্তিগড়েই গুলিতে খুন হয়ে গেছেন কয়লার বেতাজ বাদশা রাজু ঝা।
রবিবার কলকাতায় ডাক্তার দেখাতে যাওয়ার পথে সন্ধ্যেয় বর্ধমানের শক্তিগড়ে দাঁড়ালেন বীরভূমের তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল ওরফে কেষ্ট। শক্তিগড়ে মেয়ে সুকন্যাকে নিয়ে গাড়িতে বসেই চিনি ছাড়া চা এবং শশা সহযোগে ঝালমুড়ি খেলেন তারা। এদিন অনুব্রত তার সঙ্গে কাজল সেখের মতবিরোধকে উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “কাজল এসেছিল। কথা হয়েছে।” তবে, ঠিক কি কি কথা হয়েছে তা তিনি বলবেন না। ঘরের ব্যাপার অন্যকে কেন বলবেন! – তার জিজ্ঞাসা। তিনি এদিন জানিয়ে যান, কলকাতায় আগে তিনি ডাক্তার দেখাবেন। তারপর ফিরে আসবেন বাড়িতে। এবার মমতা বন্দোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দোপাধ্যায় সহ সকলের সঙ্গেই দেখা করতে পারবেন না। পরে দেখা করবেন। কলকাতা থেকে ফিরেই তিনি বাড়ির পুজোয় মন দেবেন। প্রসঙ্গত, এদিন বীরভূমে তার তৈরী কোর কমিটি ভেঙে দেওয়া নিয়ে প্রশ্ন করায় অনুব্রত মণ্ডল জানান, “আমার তৈরী কোর কমিটিই তো আছে। অন্য কোনো কমিটি নেই।” এদিন তিনি মমতা বন্দোপাধ্যায়ের ওপর পূর্ণ আস্থা রেখেই জানান, “দিদি যেভাবে বন্যাকবলিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা অভাবনীয়। রাজ্যের সবাই ভাল থাকুক, পুজো সকলের ভাল কাটুক – এটাই এখন আমি চাই।”
তিহার জেল থেকে তার মুক্তির আঁচ পাওয়া ইস্তক শক্তিগড়ের ল্যাংচা হাবে রীতিমতো হই চই পড়ে যায় – ‘ দাদা আসছেন! পুজোর মুখে জমিয়ে ব্যবসা হবে!’ আসলে সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তারের আগে পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডল যতবারই গাড়িতে করে কলকাতা যাতায়াত করেছেন, ততবারই শক্তিগড়ে থেমেছেন। তিনি থামা মানেই শত শত তৃণমুল কংগ্রেসের নেতাকর্মীদের সেখানে হত্যে দিয়ে পড়ে থাকা। আর এতো লোকজনের জমায়েতে জমে উঠত ল্যাংচা হাবের ব্যবসাও। এদিন কিন্তু কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা রক্ষীদের বেষ্টনীতে আবদ্ধ অনুব্রতর সাথে দেখা সাক্ষাতের সুযোগ হয়নি বিশেষ কোনো নেতা কর্মীর।