সংবাদদাতা, বাঁকুড়া: বাঁকুড়া গার্লস হাই স্কুলের ক্লাস নাইনের ছাত্রী আরাত্রিকা সিনহা। বাঁকুড়ার এই তনয়ার জনপ্রিয়তা পৌঁছেছে বাঁকুড়া ছাড়িয়ে কলকাতা পর্যন্ত। আরাত্রিকার কন্ঠে মজেছে সকল বঙ্গবাসী। বাঁকুড়া থেকে কলকাতা জয়ের প্রেক্ষাপট তৈরি করছে ক্লাস নাইনের এই মেয়ে। জনপ্রিয় এক গানের রিয়ালিটি শো’তে সুরের মূর্ছনায় সবাইকে হতবম্ব চকিত করেছে আরাত্রিকা। কয়েকদিনের ছুটিতে বাঁকুড়ার ভাদুলের বাড়িতে এসেছে আরাত্রিকা, দেখা করেছে তার স্কুলের বন্ধু এবং শিক্ষিকাদের সঙ্গে। প্রত্যন্ত বাঁকুড়া থেকে গান শিখে গিয়ে কলকাতার বড় মঞ্চে বাঁকুড়ার নামকে তুলে ধরাই তার এখন মূল লক্ষ্য। তাছাড়াও জীবনের লক্ষ্যে গানের সঙ্গে পড়াশোনার একটি ব্যালেন্স তৈরি করার চেষ্টা করছেন ক্লাস নাইনের এই ছাত্রী।
বাঁকুড়াতেই শুরু হয় গানের তালিম। বর্তমানে পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর কাছে গান শিখছে আরাত্রিকা। আরাত্রিকার কন্ঠে বাঁকুড়ার মানুষ মজেছে বিপুল পরিমাণে। সামাজিক মাধ্যমে শেয়ার করা হয়েছে কলকাতার রিয়ালিটি শো’তে তার গাওয়া “কারার ঐ লৌহ কপাট” গানের ভিডিও ক্লিপ। যদিও এই জনপ্রিয়তার খবর আরাত্রিকা পেয়েছে তার পরিবারের কাছেই। নিজে সামাজিক মাধ্যমে যুক্ত নয় বাঁকুড়ার এই তনয়া। বাঁকুড়ার মানুষের ভালোবাসাকে দুহাত ভরে গ্রহণ করেছে আরাত্রিকা। বলেছে এই ভালবাসা এবং বিশ্বাস সে ধরে রাখার চেষ্টা করবে।
বাঁকড়ি উচ্চারণ, শুনতে খুব মিষ্টি লাগলেও,অধিকাংশ গানের ক্ষেত্রে এটি সমস্যার সৃষ্টি করলেও করতে পারে সামান্য, এমনটাই মনে করেন অনেকেই। আরত্রিকা এই সমস্যার সমাধান করেছে তার দাদু দিগন্ত সিনহা। দিগন্ত বাবু জানান আরাত্রিকার সঠিক উচ্চারণের পিছনে সমগ্র সিনহা পরিবারের সংস্কৃতি চর্চার হাত রয়েছে। খুব ছোট বয়স থেকেই বাবা এবং দাদুর হাত ধরে আবৃত্তি করতে শুরু করে আরাত্রিকা এবং সেই কারণেই উচ্চারণের গুনগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
আরাত্রিকা চায় ভবিষ্যতে সঙ্গীতকে নিয়েই এগিয়ে যেতে। এই একই চাওয়া তার পরিবারেরও। আরাত্রিকা সিনহার বাবা সৌম্য সিনহা বলেন আরত্রিকার কাঁচা বয়সকে বিবেচনা করে সঙ্গীত চর্চার পাশাপাশি পড়াশোনাটাও যাতে সঠিক ভাবে করতে পারে সেই চিন্তাই করা হচ্ছে আপাতত। সামনেই রয়েছে মাধ্যমিক এবং উচ্চমাধ্যমিক। জীবনের বড় পরীক্ষাগুলির কথা ভেবে আরাত্রিকা এবং সিনহা পরিবার একটি ব্যালেন্স তৈরি করার চেষ্টা করছেন যেখানে সঙ্গীত হবে পাখির চোখ এবং শিক্ষা হবে আবহ।