সংবাদদাতা, বিষ্ণুপুরঃ- এবার পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধেই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা। তাই নিয়ে বেজায় অস্বস্তিতে জেলা পুলিশ। কারন, ওই গ্রেপ্তারি পরোয়ানা একটি চিটফান্ড মামলা সংক্রান্ত।
পিনকন চিটফান্ড মামলায় দিনের পর দিন গর হাজির থাকছিলেন বাঁকুড়া জেলা পুলিশের এক আধিকারিক প্রিয়ব্রত বক্সী। তিনি আবার বিষ্ণুপুরের মহকুমা পুলিশ অফিসার (এস.ডি.পি.ও)। বৃহস্পতিবার পূর্ব মেদিনীপুরের তমলুক আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারপতি মৌ চট্টোপাধ্যায় প্রিয়ব্রত কে গ্রেপ্তার করে আদালতে হাজির করানোর আদেশ দিয়েছেন। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা পুলিশ সুপার কে। বিচারপতি নির্দেশ দিয়ে বলেছেন ১ ফ্রেব্রুয়ারি মামলার পরবর্তী শুনানির দিন যেন প্রিয়ব্রত কে গ্রেপ্তার করে হাজির করানো হয়।
পূর্ব মেদিনীপুরের খেজুরি থানায় ২০১৭ সালে পিনকন নামে একটি চিটফান্ড সংস্থার নামে প্রতারনার অভিযোগ দায়ের হয়। রাজ্য সরকারের লাগু করা ২০১৫ সালের- “প্রোটেকশন অফ ইন্টারেষ্ট অফ ডিপোজিটরস ইন ফিনান্সিয়াল এস্টাবলিসমেন্ট” আইন মোতাবেক আমানত কারীরা অভিযোগ দায়ের করেন। ওই আইন অনুযায়ী, এই সব প্রতারনার অভিযোগের তদন্ত করবেন আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক পুলিশ তদন্ত করবে না।
প্রিয়ব্রত ২০১৭ তে আর্থিক অপরাধ দমন শাখার আধিকারিক ছিলেন। খেজুরিতে দায়ের করা প্রতারনা মামলার তিনিই তদন্তকারি অফিসার। তাই, মামলার প্রয়োজনে তার সাক্ষ্য দান অত্যন্ত জুরুরি। অথচ শুনানীর দিন গুলিতে ধারাবাহিক ভাবে তিনি আদালতে গড় হাজির থাকেন। পিনচন চিটফান্ডের এক ঝাঁক ডিরেক্টর এখন জেলে। আদালতের হস্তক্ষেপে ইতিমধ্যেই প্রতারিত আমানত কারীদের টাকা ফেরানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। আর্থিক অপরাধ দমন শাখার পক্ষে বিশেষ সরকারি আইনজীবি সৌমেন কুমার দত্ত বলেন, “এই গুরুত্বপূর্ণ মামলায় প্রথম তদন্তকারী অফিসারের সাক্ষ্যদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। সব জেনে ও উনি বার বার গড় হাজির থাকছেন। তাই, আদালত রুষ্ট হয়ে তাকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ দিল”।