সংবাদদাতা,আসানসোল:– লটারি কেটে রাতারাতি কোটিপতি হলে গেলেন আসানসোলের পলাশডিহা শিবানী পাড়ার বাসিন্দা মিলন দাস। সে ভাবে কোনও কাজকর্ম নেই, রেলের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী মায়ের পাওয়া টাকা দিয়েই চলে সংসার। তাই সংসারে অনটন লেগেই থাকে। রাতারাতি কোটিপতি হয়ে উচ্ছ্বসিত মিলন জানালেন প্রায়ই এক হাজার দু হাজার টাকার লটারি কিনতেন। অবশেষে ভাগ্যে লটারির শিকে ছিঁড়ল।
জানা গেছে গতকাল অর্থাৎ মঙ্গলবার পাঁচগাছিয়া মোড়ে উত্তম বাউরি নামক এক লটারি বিক্রেতার কাছে রাজ্য সরকারের অনুমোদিত নাগাল্যান্ডের ডিয়ার লটারির ৫০ সেমের একটি লটারি কিনেছিলেন মিলন। রাত ৮ টার পর খেলা হয়। এরপরই তিনি জানতে পারেন প্রথম পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। তবে পুরস্কার জিতলেও, লটারি নিয়ে ঝক্কি তো কম নেই। যখন রাজ্যজুড়ে লটারিতে ‘লুটপাট’ নিয়ে খবর বার বার শিরোনামে উঠে আসছে। তাই লটারির টিকিট নিজের কাছে রাখতে সাহস পাননি মিলন। রাতেই সেটি স্থানীয় থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে জমা রাখেন। জানা গেছে বুধবার রাতে তাঁর হাতে পুরস্কারের টাকা তুলে দেওয়া হবে।
এত টাকা পেয়ে কি করবেন? মিলন জানালেন মেয়ে আছে, তার বিয়ে দিতে হবে। এছাড়া বাড়িঘরদোরের অবস্থাও খারাপ। ওই টাকা দিয়ে ঘর বানাবেন। বাকি টাকা ব্যাঙ্কে জমা করবেন। অন্যদিকে মিলবাবুর স্ত্রী বলেন, মেয়ের বিয়ে দিতে হবে, ছেলে আছে ছেলের ভবিষ্য়তের জন্যও কিছু টাকা রাখতে হবে।
সব মিলিয়ে হঠাৎ কোটিপতি হয়ে খুশির হাওয়া পলাশডিহা শিবানী পাড়ার দাস পরিবারে।