সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আসানসোল শহরের বুক চিড়ে চলে গেছে গাড়ুই নদী। আসানসোল শহরকে দুই ভাগে ভাগ করা এই গাড়ুই নদী বর্ষাকালে ভয়াবহ হয়ে উঠে। বেড়ে যাওয়া জলে নদীর পার্শ্ববর্তী এলাকা সহ শহরের নিচু অংশ ডুবে যায়। চলতি বছরের আগস্টের শুরুতে নদীর জল বেড়ে তলিয়ে দুজনের মৃত্যু হয়। এর আগে ২০২১ সালেও বর্ষায় গাড়ুই নদীর জল বেড়ে রেলপার ও তার আশপাশের এলাকায় ভয়াবহ বন্যা দেখা দিয়েছিল। জলে তলিয়ে প্রাণহানীর ঘটনাও ঘটেছিল। চলতি বছরে জলে তলিয়ে মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনার পর তৎপরতা শুরু করেছে জেলা প্রশাসন। এবং এদিন পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক এস পোন্নাবলমের নেতৃত্বে গাড়ুই নদী পরিদর্শন করে একটি দল। দলে ছিলেন আসানসোল পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার আর কে শ্রীবাস্তব, সেচ বিভাগের ইঞ্জিনিয়ার ছাড়াও জেলাশাসক ও মহকুমাশাসক কার্যালয়ের আধিকারিকরা। দলটি প্রথমে আসানসোলের কল্যাণপুর হাউজিং সংলগ্ন সেতু এলাকা পরিদর্শন করেন। গত অগস্টে এখানেই একটি গাড়ি নদীর জলে ভেসে যায় এবং তাতে চালকের মৃত্যু হয়। এরপর তারা রেলপার কসাইমহল্লা এলাকায় যান ও অন্যান্য এলাকা পরিদর্শন করেন।
অন্যদিকে প্রশাসনের এই পরিদর্শন নিয়ে এলাকার মানুষ প্রশ্ন তুলছেন। তাদের দাবি, এরকম পরিদর্শন এর আগে বহুবার হয়েছে। কিন্তু নদী সংস্কারের কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয়দের মতে গাড়ুই নদী সংস্কারে প্রশাসনকে কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে। কারণ বেআইনি দখলদারদের কবলে পড়ে নদী অনেক জায়গায় নালায় পরিণত হয়েছে। এছাড়া অনেক কলকারখানা থেকে বর্জ নদীতে ফেলা হয়। সেই কারণেও নদীর গতিপথ ক্রমশ রুদ্ধ হয়ে যাচ্ছে।
তবে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে এবার গাড়ুই নদী সংস্কারের বদ্ধপরিকর প্রশাসন অবং প্রয়োজনে কড়া পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।