জ্যোতি প্রকাশ মুখার্জ্জী, আসানসোলঃ- যত সস্তা ও উন্নত হয়ে সবার নাগালের মধ্যে আসছে নেট দুনিয়া, পাল্লা দিয়ে তার অপব্যবহারও বাড়ছে। সেলিব্রিটি থেকে শুরু করে শুরু তার শিকার হচ্ছে কিশোরীরা। এখন আবার ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা’ (AI) প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হচ্ছে। আসল-নকল পার্থক্য চিহ্নিত করা কঠিন হচ্ছে। রাজ্যজুড়ে পুলিশের সাইবার ক্রাইম বিভাগ থাকলেও লোকলজ্জায় ভয়ে অনেকেই অভিযোগ করতে চাইছেনা। এই পরিস্থিতিতে কিশোরীদের মধ্যে সচেতনতা ও মনে সাহস বৃদ্ধির লক্ষ্যে এগিয়ে এল কুলটি থানা ও শাকতোড়িয়া ফাঁড়ির পুলিশ আধিকারিকরা।
গত ২২ শে আগস্ট কুলটি থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক কৃষ্ণেন্দু দত্তের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন পুলিশ আধিকারিক উপস্থিত হন শাকতোড়িয়া এস ডি গার্লস হাইস্কুলে। লক্ষ্য ক্রমবর্ধমান সাইবার ক্রাইম সহ মহিলা সুরক্ষা নিয়ে ছাত্রীদের সচেতন করা ও তাদের অভয় দেওয়া।
তারা ছাত্রীদের সঙ্গে বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন। বিদ্যালয়ে আসা-যাওয়ার পথে কোনো সমস্যা হচ্ছে কিনা সেটা তাদের কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেন। কোনোরকম সমস্যা হলেই বিষয়টি নিয়ে বাড়ির অভিভাবক, বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা বা থানায় জানানোর জন্য অনুরোধ করেন। এমনকি বিদ্যালয়ের শিক্ষিকাদের থানার সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য তারা পরামর্শ দেন। এরফলে পুলিশ দ্রুততার সঙ্গে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পারবে।
স্কুলের শিক্ষিকা থেকে শুরু করে ছাত্রীরা এবং অভিভাবকরা পুলিশের এই উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তাদের বক্তব্য পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে যদি মাঝে মাঝে মেয়েদের চলার পথে ‘সারপ্রাইজ ভিজিট’ করা হয় তাহলে কিছুটা হলেও দুষ্কৃতিরা দমে যাবে। আবার পাশে পুলিশকে পেলে মেয়েরাও কিছুটা সাহসী হবে, প্রতিবাদ করবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জনৈক ছাত্রী বলল- প্রথমে পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। যখন বুঝতে পারলাম উনারা আমাদের ভালর জন্যে এসেছেন ভয় কেটে যায়। মন দিয়ে তাদের পরামর্শ শুনি। ঠিক করে নিয়েছি সমস্যা হলেই পুলিশ ‘কাকু’দের জানাব।