সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়ছে পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। প্রসঙ্গত সম্প্রতি টানা ভারী বৃষ্টিতে জেলার বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। তারপরই ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা লাফিয়ে বেড়েছে। স্বাস্থ্য দফতের পরিসংখ্যান অনুযায়ী এই মুহূর্তে জেলায় নতুন করে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন ১৬৫ জন । তার মধ্যে আসানসোল পুরনিগম এলাকায় ৮৫ জন এবং দুর্গাপুর পুরনিগম এলাকায় ৬৫ জন। এমনটাই জানিয়েছেন জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস খান। পাশাপাশি তিনি জানান, জেলার সব ব্লকে এক বা দুজন করে ডেঙ্গু আক্রান্তর খোঁজ পাওয়া গেলেও অন্ডাল ও কাঁকসায় আক্রান্তের সংখ্যা অনেকটাই বেশি।
অন্যদিকে, আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, “আগস্ট মাসে কেবলমাত্র এই রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৩ জন। আসানসোল পুর এলাকায় যতজন আক্রান্ত হয়েছেন তার মধ্যে ২৬ জন বাঙ্গালোর, চেন্নাই সহ প্রধানত দক্ষিণ ভারত থেকে এই রোগ আক্রান্ত হয়ে নিজেদের জেলায় এসেছেন। আসানসোল পুরনিগমের ৩, ৪, ৫, ৬ নম্বর বোরোগুলিতে এই রোগে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি। এর পাশাপাশি আসানসোলের রেলপারে মুৎসুদ্ধি মহল্লা, হটন রোড, আসানসোল বাজার সংলগ্ন ৪১, ৪৪, ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডে ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়েছে। এছাড়াও কুলটির নিয়ামতপুর, বরাকর , ডিসেরগড়ে এই রোগে আগস্ট মাসে আক্রান্ত হয়েছেন অনেকেই।”
ডেঙ্গু মোকাবিলায় জেলাস্তরে যেমন ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে তেমনই আসানসোল পুরনিগমের তরফেও একাধিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। আসানসোলের দুটি, রানিগঞ্জ, কুলটি ও জামুরিয়ার তিনটি সহ মোট পাঁচটি স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এই রোগে কেউ আক্রান্ত কিনা তা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়াও পুর এলাকার মধ্যে ২৪টি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রক্ত পরীক্ষার রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মোবাইল নম্বরে পাঠিয়ে দেওয়া হচ্ছে। এছাড়াও প্রতিটি ওয়ার্ডে বাড়ি বাড়ি গিয়ে দেখা হচ্ছে কোথাও জল বা আবর্জনা জমে আছে কিনা।
আসানসোল পুরনিগমের স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দীপক গঙ্গোপাধ্যায়ের মতে গতবারের তুলনায় এবারে পুরনিগম এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা কম। তবে আগস্ট মাসে টানা বৃষ্টির কারণে আচমকা রোগীর সংখ্যা বেড়েছে।
