সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আবাসন অবৈধ দখল মুক্ত করতে গিয়ে স্থানীয়দের বাধার মুখে পড়ে ফিরে যেতে বাধ্য হলেন ইস্কো আধিকারিকরা। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে শুরু হয়েছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে বিরোধী দল বিজেপির বাকযুদ্ধ।
প্রসঙ্গত বার্নপুর ইস্কো কারখানা বা সেল আইএসপি কর্তৃপক্ষ আসানসোলের হীরাপুর থানার বার্নপুরের নিউটাউন এলাকায় ইস্কোর আবাসনগুলির অবৈধ দখল মুক্ত করার কথা আগেই জানিয়েছিল। সেই মতো মঙ্গলবার সকালে ইস্কো আধিকারিকরা এলাকায় অভিযান চালাতে গেলে স্থানীয় বাসিন্দারা তাদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। ইস্কোর জমি অবৈধভাবে দখল করে যেসব খাটাল রয়েছে, সেইসব খাটাল উচ্ছেদ করতে হবে বলে দাবি জানান বিক্ষোভরত বাসিন্দারা। তাদের অভিযোগ এই খাটাল গুলির কারণে রাস্তায় যত্রতত্র গোরু ও মোষ ঘুরে বেড়ায়। তার ফলে একদিকে যেমন দুর্ঘটনা ঘটে অন্যদিকে অপরিস্কার ও পরিছন্নতার অভাবে এলাকায় মশা মাছির ও রোগের উপদ্রব বাড়ছে। স্থানীয়রা জানান খাটাল উচ্ছেদ জন্য ইস্কো তথা সেল কর্তৃপক্ষের কাছে এলাকাবাসী ও নাগরিকদের পক্ষ থেকে একাধিকবার ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে। কিন্তু কর্তৃপক্ষ খাটাল উচ্ছেদ না করে আবাসন দখল মুক্ত করতে এসেছে। কার মদতে এসব হচ্ছে? প্রশ্ন তোলেন স্থানীয়রা। বাধার মুখে পড়ে শেষপর্যন্ত আবাসন দখল মুক্ত না করেই ফিরে যেতে বাধ্য হন আধিকারিকরা।
অন্যদিকে এলাকার বাসিন্দাদের পাশে দাঁড়িয়ে আসানসোল পুরনিগমের ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার কাঞ্চন মুখোপাধ্যায় ইস্কো কারখানা কর্তৃপক্ষ আসানসোল দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পালের কথায় কাজ করেন বলে দাবি করেন। আর এই মন্তব্য ঘিরে শুরু হয় বাকযুদ্ধ। বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বাপ্পা চট্টোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, “ইস্কো কর্তৃপক্ষ বিজেপির নয় তৃণমূল কংগ্রেসের দলদাসে পরিণত হয়েছে। তাই ইস্কোর জমিতে তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় গড়ে উঠলেও তা করা উচ্ছেদ হয়না।” এমনকি তিনি দাবি করেন ইস্কোর সিএসআর ফাণ্ডের টাকা খরচ করা হয় সেখানে, যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা ও মন্ত্রীরা উপস্থিত থাকেন। সেখানে অগ্নিমিত্রা পাল বা বিজেপির জন প্রতিনিধিদের ডাকা হয় না। বিষয়টি ঊর্দ্ধতন পক্ষের কাছে জানিয়ে শেষ দেখে ছাড়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।