সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– রেল আবাসনে ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা দুষ্কৃতীদের। গৃহকর্ত্রী ও তার দুই সন্তানকে ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না লুঠ করে পালাল দুষ্কৃতীরা। ঘটনাটি ঘটেছে আসানসোলের রেল কলোনিতে। আবাসনে আবাসিক থাকা সত্বেও যেভাবে দুই দুষ্কৃতী দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে লুটপাট চালায়, তাতে একদিকে যেমন আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে অন্যদিকে পুলিশ ও আরপিএফের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
জানা গেছে, পূর্ব রেলের আসানসোল রেলওয়ে ডিভিশনের পয়েন্ট ম্যান ভুপেন্দ্র কুমার সিং আসানসোলের দোমহানি রেল কলোনির স্লিপ গ্রাউন্ডের কাছে রেল আবাসনে পরিবার নিয়ে থাকেন। বর্তমানে তিনি কিছু ব্যক্তিগত কাজে তাঁর পৈতৃক বাড়িতে গেছেন। মঙ্গলবার রাতে রেল কর্মীর স্ত্রী শ্বেতা সিং তার দুই নাবালক সন্তানকে নিয়ে আবাসনে একাই ছিলেন। বুধবার ভোররাত সাড়ে তিনটে নাগাদ দুই যুবক ধারালো ভোজালি নিয়ে দরজা ভেঙে রেল আবাসনে ঢুকে পড়ে। সেই সময় শ্বেতা সিং ও তাঁর দুই সন্তান ঘুমিয়েছিলেন। এদিকে দুষ্কৃতীরা ঘরে ঢুকে আলমারি ভাঙার চেষ্টা করলে শব্দে ঘুম ভেঙে যায় শ্বেতাদেবীর। দুই দুষ্কৃতীকে দেখে ভয়ে তিনি চিৎকার করে আশেপাশের লোকজনদের ডাকার চেষ্টা করলে দুই যুবক ধারাল অস্ত্র দেখিয়ে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। এরপর প্রায় ১৫ মিনিট ধরে চলে লুটপাট। আলমারি খুলে প্রায় ১০ লক্ষ টাকার গহনা নিয়ে পালিয়ে যায় দুজন। দুষ্কৃতীরা চলে যাওয়ার পরে শ্বেতাদেবী চিৎকার করে আশপাশের লোকেদের ডাকেন। পরে ঘটনার খবর পেয়ে রেলওয়ে প্রোটেকশন ফোর্স বা আরপিএফ ও আসানসোল দক্ষিণ থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে তদন্ত শুরু করে।
অন্যদিকে এই ঘটনার জেরে রেল কলোনির আবাসিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আবাসিকরা জানান, রেল আবাসনে আরপিএফের নিয়মিত টহল দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। তাদের দায়িত্ব রেলের আবাসনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা করা হচ্ছে না।