সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– বিদ্যুতের হাইটেনশনের খুঁটি বসানোকে কেন্দ্র করে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়াল আসানসোল দক্ষিণ থানার ধেমোমেনের সাতাশাই মোড় সংলগ্ন কাঁকড়শোল এলাকায়। ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুলিশ ও স্থানীয়দের মধ্যে ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়।
জানা গেছে, ধেমোমেনের কাঁকড়শোল এলাকায় রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে হাই টেনশন তার নিয়ে যাওয়ার জন্য বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তারজন্য সমীক্ষাও করা হয়েছে। সেই মতো শনিবার সকালে রাজ্য বিদ্যুৎ দপ্তরের তরফে একটি সংস্থার লোকেরা ব্যক্তি মালিকানাধীন জমিতে হাই টেনশন বিদ্যুতের খুঁটি বসাতে পৌঁছন। আর এতেই বিপত্তি বাধে। স্থানীয় মানুষ এবং সংশ্লিষ্ট জমির মালিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। মহিলারা বুলডোজারের সামনে বসে পড়েন। খবর পেয়ে আসানসোল দক্ষিণ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী এলাকায় পৌঁছয় এবং বিক্ষোভকারীদেরকে বোঝানোর চেষ্টা করলে পরিস্থিতি আরো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। । বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের ধস্তাধস্তি বেঁধে যায়। শেষ পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের বাধায় বিশাল বিশাল মেশিন নিয়ে ওই ঠিকা সংস্থার কর্মীরা ফিরে যেতে বাধ্য হন। অভিযোগ, উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এমনকি জমির মালিকদের কোনরকম অনুমতি ছাড়াই জোর করে বিদ্যুৎ দপ্তর খুঁটি বসাতে চাইছে।
এদিন ওই জমির মালিক বলে দাবি করা জয়শ্রী বাউরি, পূষ্পা বাউরিরা জানান, তাঁরা চারজন স্বয়ম্ভর গোষ্ঠীর মহিলা এক হয়ে বছর দেড়েক আগে পবন কুমার নন্দীর কাছ থেকে ১৫ কাঠা জমি কিনেছিলেন। এই জমির উপর তারা সেলাই কেন্দ্র গড়ে তোলার উদ্যোগ নিচ্ছিলেন। সেই সেলাই কেন্দ্রে প্রায় সাড়ে চার হাজার মহিলা স্বনির্ভর হয়ে উপার্জনের সুযোগ পাবেন। জমিটি তারা পাঁচিল দিয়ে ঘিরেও ছিলেন। কিন্তু এদিন সকালে হঠাৎ করেই সেই পাঁচিল বুলডোজার দিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়।
এই প্রসঙ্গে ওই মহিলারা জানান তাঁদের জানানো হয়েছিল তাঁদের জমি সরকার অধিগ্রহণ করছে। এরপরই তাঁরা প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের সঙ্গে কথা বলেন, এবং ওই জমির পাশে বিদ্যুতের খুঁটি বসানোর আবেদন জানান ও তাতে প্রশাসন রাজিও হয়। কিন্তু তারপরে হঠৎ করে তাঁদের জমিতেই এদিন খুঁটি বসানোর উদ্য়োগ নেওয়া হয়।
অন্যদিকে আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ ও পশ্চিম বর্ধমান জেলা প্রশাসনের দুই আধিকারিক বলেন, “এদিন কাজ করা যায়নি। তবে আগেই সমীক্ষা করা হয়েছে। সেই মতো কাজ করা হবে। জমির মালিকেরা কিছু দিন সময় চেয়েছেন।”