সংবাদদাতা, আসানসোল ও বাঁকুড়াঃ– ছট উপলক্ষ্যে সারা রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিম বর্ধমান জেলার আসানসোলের মানুষও মাতলেন সূর্য বন্দনায়। রবিবার বিকেলের পর সোমবার সকালে সূর্য দেবকে অর্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে ছটের পুজো সম্পন্ন হয়। এদিন আসানসোলের কাল্লার প্রভু ছটঘাট সহ সবকটি ছট ঘাটে নিষ্ঠার সাথে ছটপূজো পালিত হয়। আসানসোলের বিভিন্ন নদী ও জলাশয়ে ছট ঘাটগুলিতে পুন্যার্থীরদের ঢল নামে। ভক্তিবন্দনা সংগীতানুষ্ঠানের আয়োজনের পাশাপাশি সাথে সাথে ছটঘাটগুলি সেজে উঠেছিল আলোর সাজে। সব মিলিয়ে ছটপুজোতে জমজমাট হয়ে ওঠে আসানসোলের ছটঘাটগুলি। অন্যদিকে এই জনসমাগম ঘিরে যাতে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে তাই ছটঘাট গুলোতে পুলিশের নজরদারি ছিল চোখে পড়ার মতো। এর পাশাপাশি ঘাটে সিভিল ডিফেন্সের টিমও উপস্থিত ছল। এমনকি ছটঘাটে আসানসোল পৌরনিগমের উদ্যোগে মেডিকেল ক্যাম্পও খোলা হয়।
অন্যদিকে বাঁকুড়ার দারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরী নদীতে মহাসমারোহে অনুষ্ঠিত হয় ছট পূজা। রবিবার নিষ্ঠার সঙ্গে দারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরী নদীতে স্নান করে সূর্যদেব অস্ত যাওয়ার আগে ফল ধুপ, দ্বীপ ও জল অর্পণ করে পুজো দেয়ার পর আজ সোমবার সূর্য উদয়ের সময় আবারও সূর্য দেবের আরাধনায় মাতেন পুণ্যার্থীরা। পরিবারের মঙ্গল কামনায় নির্জলা উপবাস করে সূর্য দেবতার কাছে প্রার্থনা জানান তাঁরা। এদিন বাঁকুড়ার দুই প্রান্তে দারকেশ্বর ও গন্ধেশ্বরী দুই নদীতে স্নান করে সূর্যদেবকে অর্ঘ্য নিবেদন করে ছটের উপবাস ভঙ্গ করেন ছটের ব্রত পালনকারীরা।
হিন্দু ধর্মানুসারে ছট পূজা মূলত সূর্যদেব এবং তাঁর স্ত্রী উষা দেবীর পুজো। তবে ছট পূজার মধ্য দিয়ে মূলত সূর্যদেবের উপাসনা করা হয়। প্রতি বছর কার্তিক মাসের শুক্লা ষষ্ঠী ও সপ্তমীতে ছট পূজা অনুষ্ঠিত হয়। উপবাস থেকে ছটের ব্রত পালন করে থাকেন ভক্তরা। ষষ্ঠীর দিন ছট পূজার সন্ধ্যাকালীন এবং সপ্তমী দিন উষাকালীন অর্ঘ্য উৎসর্গ করা হয়। এরপরই ব্রত ভঙ্গ করেন উপবাসীরা।