সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- বিজেপি নেতা খুনের ঘটনার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের জামুড়িয়া থানার পুলিশ। প্রসঙ্গত গত ২৯ এপ্রিল রাজেন্দ্র সাউ নামের এক বিজেপি নেতাকে গুলি করে হত্যার ঘটনা ঘটে জামুড়িয়া থানার শ্রীপুর ফাঁড়ি এলাকায়। ওই দিন দুপুরে এলাকার বোগড়া ও চাঁদার মাঝে শ্মশান কালী মন্দির লাগোয়া ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে গাড়ির ভিতরে পয়েন্ট ব্ল্যাংক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় ওই বিজেপি নেতাকে। খুনের ঘটনার তদন্তে নেমে রঘুনাথ কর্মকার নামে এক দুষ্কৃতী সহ চারজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। যার মধ্যে রঘুনাথ কর্মকারই বিজেপি নেতাকে খুন করে বলে অভিযোগ। রবিবার তাকে খুনের ঘটনাস্থলে নিয়ে গিয়ে ঘটনার পুনরনির্মাণ করে জামুড়িয়া থানার পুলিশ।
ধৃতকে জেরা করে পুলিশ জানতে পারে ঘটনার দিন নিজের স্করপিও গাড়ি চালিয়ে একাই যাচ্ছিলেন বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ। শ্মশান কালী মন্দির লাগোয়া ১৯ নম্বর জাতীয় সড়কে বাইকে করে বিজেপি নেতার পিছু নেয় রঘুনাথ কর্মকার ও তার গাড়ি দাঁড় করায়। এরপর গাড়ির জানলায় টোকা দিতে রাজেন্দ্র সাউ জানলা খুলতেই নিজের কোমরে গোঁজা পিস্তল বার করে পয়েন্ট ব্ল্যাক রেঞ্জ থেকে তাকে গুলি করে হত্যা করে সে এবং রাজেন্দ্রর সঙ্গে থাকা নগদ পাঁচ লক্ষ টাকা লুঠ করে চম্পট দেয় সে। রবিবার পুনরনির্মাণ চালাকালীন পুরো ঘটনাটি করে দেখায় ধৃত দুষ্কৃতী।
আসানসোল পুরনিগমের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি কনভেনেরের পাশাপাশি রাজেন্দ্র সাউ একজন রেশনডিলার এবং জমি ব্যবসায়ী ছিলেন। অন্যদিকে দৃষ্কৃতী রঘুনাথ কর্মকার এর আগে রানীগঞ্জে সোনার দোকানে ডাকাতি করতে গিয়ে গুলি করে এক ব্যক্তিকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত হয়ে সাড়ে চার বছর জেল খাটে। পরে ২০২৩ সালের ১ মার্চ জামিনে ছাড়া পায় সে এবং আসানসোল দক্ষিণের ডামরা এলাকায় জুয়া খেলানোর কারবার চালাতে শুরু করে। এদিকে বিজেপি নেতা রাজেন্দ্র সাউ জুয়ায় আসক্ত ছিল বলে পুলিশের দাবি। জুয়ার সূত্রেই দুজনের পরিচয় এবং পরে টাকা পয়সার লেনদেন নিয়ে বিবাদ বাঁধে। সেই বিবাদের জেরেই রাজেন্দ্র সাউকে খুন করা হয় বলে মনে করছে পুলিশ। যদিও ঘটনার তদন্ত এখনও চলছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।