সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- হাতে মাত্র আর দুদিন। এর মধ্যেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচার সেরে ফেলতে হবে রাজনৈতিক দলগুলিকে। চলছে শেষ প্রচারের ব্যস্ততা। এরই মধ্যে শাসক দলের বিরুদ্ধে সিভিক পুলিশ দিয়ে প্রচারে বাধা দেওয়া ও সন্ত্রাস চালানোর অভিযোগে জামুরিয়া থানার কেন্দা পুলিশ ফাঁড়ি ঘেরাও করে বিক্ষোভে সামিল হল স্থানীয় বিজেপি নেতা কর্মীরা।
স্থানীয় বিজেপি নেতা তথা মণ্ডল ২-এর সভাপতি রমেশ ঘোষ ও বিজেপি নেত্রী কাকলি ঘোষ দাবি করেন এলাকার দুই সিভিক ভলান্টিয়ার চঞ্চল গড়াই এবং উৎপল বাউরি তৃণমূলের হয়ে প্রচার চালানোর পাশাপাশি জনগণকে হুমকি দিচ্ছে- বিজেপির পক্ষে প্রচার করলে ও ভোট দিলে তার ফল ভোগ করতে হবে। এই দুই সিভিক ভলান্টিয়ার এলাকায় রীতিমতো ভয় ও সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করায় বহু বিজেপি কর্মী বাড়ি ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়েছেন। পাশাপাশি এলাকার বিজেপি মনোনীত প্রার্থীদের দেওয়াল লিখন কাদা দিয়ে নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল নেতা বিনোদ নোনিয়ার গুণ্ডা বাহিনী বিজেপি কর্মীদের উপর হকি স্টিক নিয়ে হামলা চালাচ্ছে বলে অভিযোগ স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের। আর এই আক্রমনের হাত থেকে মহিলারাও বাদ পড়ছে না বলে দাবি।
তৃণমূলের এই সন্ত্রাসের প্রতিবাদে ও অবিলম্বে ওই দুই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্তের দাবিতে এদিন জামুরিয়া থানার অন্তর্গত কেন্দা পুলিশ ফাঁড়িতে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা কর্মীরা। পাশাপাশি বিজেপি প্রার্থী এবং কর্মীদের নিরাপত্তার দাবি জানিয়ে এদিন থানায় একটি স্মারকলিপিও জমা দেন তারা। তবে সুষ্ঠু নির্বাচন না হলে প্রতিটি থানার গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন জামুড়িয়ার বিজেপি গ্রামীণ মণ্ডল ২-এর নেতৃত্ব।
এর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্ব ও কারচুপির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। তাদের দাবি পশ্চিম বর্ধমান জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের অধীনে সমস্ত বিডিও অতিরিক্ত ব্যালট পেপার ছাপিয়েছে, যাতে শাসক দলের সমর্থনে কারচুপি করা যায়।