নিজস্ব সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- গাড়ি যাতায়াতের সময় রীতিমতো কাঁপছে ব্রিজ। ধরেছে ফাটল। ব্রিজের দুইপাশের অনেক জায়গায় ফুটপাত নেই বললেই চলে। কারণ ফুটপাতের স্ল্যাব ভেঙে নদী গর্ভে তলিয়ে গেছে। ব্রিজের একাধিক অংশে ঢালাই খসে পড়েছে, লোহার রড দেখা যাচ্ছে। এমনই ভয়ঙ্কর পরিস্থিত পশ্চিমবঙ্গ-ঝাড়খণ্ড সীমান্তে জাতীয় সড়কে বরাকর নদীর উপর ডুবুরডি ব্রিজের। ফলে যে কোনও সময়ে ঘটে যেতে পারে বড়োসড়ো দুর্ঘটনা। রীতিমতো প্রাণের ঝুঁকি নিয়েই ওই ব্রিজের উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অথচ ব্রিজের এই বর্তমান অবস্থা নিয়ে প্রশাসন ও সংশ্লিষেট দপ্তরের কোনও হেলদোল নেই বলেই দাবি স্থানীয়দের।
প্রসঙ্গত ২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর কলকাতা শহরতলির মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর থেকেই এই ব্রিজের অবস্থা খারাপ হতে থাকে বলে দাবি স্থানীয়দের একাংশের। তাদের মতে মাঝেরহাট ব্রিজ ভেঙে পড়ার পর ডুবুরডি চেকপোস্টে কলকাতগামী ভারী পণ্যবোঝাই ট্রাক ঢোকা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর ফলে কয়েকশো পণ্যবোঝাই ভারী ট্রাক আটকে থাকে দিনের পর দিন। সেই সময় বহু ২০-২২ চাকার ট্রাক-ট্রেলার দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে ছিল এই ব্রিজের উপর। প্রায় চল্লিশ বছরের পুরানো এই সেতুটি এর ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বলে দাবি স্থানীয়দের। তাছাড়া ব্রিজের ওপারে ডুবুরি চেকপোস্টে পুলিশের চেকিংয়ের সময় এই রাস্তায় প্রায়শই জ্যাম হয়ে যায়। যার কারণে শয়ে শয়ে ট্রাক এই ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে থাকে। তার ফলেও ব্রিজটি দিন দিন দুর্বল হয়ে পড়ছে বলে অভিযোগ।
স্থানীয়রা জানান বহুবছর আগে একবার ব্রিজ সংস্কারের কাজ হয়েছিল, তারপর থেকে আর কোনও কাজ হয়নি। নজরদারির অভাবেই দুর্বল হয়ে পড়ছে ব্রিজটি। অবিলম্বে ক্ষতিগ্রস্ত ব্রিজটির মেরামতি না হলে যে কোনও সময় বড়োসড়ো দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।