সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- আসানসোল পুর নিগমের উপনির্বাচনে ভোট গ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হলেও বেলা বাড়তেই একাধিক অশান্তির ঘটনা সামনে এসেছে। বুথ দখল, বুথ লুঠ, বুথ এজেন্টকে মারধর সহ শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ করেছে বিজেপি। পাশাপাশি তৃণমূল ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
প্রসঙ্গত এদিন সকাল থেকেই বুথ গুলির সামনে লম্বা লাইন চোখে পড়ে ভোটারদের। পুলিশি কড়া নিরাপত্তা ও নজরদারিতে শুরু হয় ভোট গ্রহণ পর্ব। সকাল থেকেই একাধিক বুথ পরিদর্শন করেন তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী বিধান উপাধ্যায়। তিনি বলেন শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ চলছে। বিরোধীরা মিথ্যে প্রচার করছে।
এদিকে বেলা বাড়ার সাথে সাথে শাসক দলের বিরুদ্ধে বুথ দখল সহ একাধিক অভিযোগ উঠতে থাকে । ৬ নম্বর ওয়ার্ডের মণ্ডলপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮২ নম্বর বুথে বিজেপির বুথ এজেন্টকে মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ করেন বিজেপি প্রার্থী সুদীপ চক্রবর্তী। তিনি জানান শাসক দলের দুষ্কৃতীরা বুথ দখল করার চেষ্টা করছে। এছাড়াও শাসক দলের বিরুদ্ধে একাধিক বুথে বিজেপি কর্মীদের মারধর ও এজেন্টদের বুথে বসতে না দেওয়ার অভিযোগ তোলে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। প্রতিবাদে বিজেপি বিধায়ক লক্ষন ঘোড়ুই ও বিজেপির আসানসোল জেলা সভাপতি দিলীপ দে’র নেতৃত্বে জেকে নগরে মোড়ে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি নেতা কর্মী সমর্থকরা। সেই সময় বিজেপি কর্মীরা বহিরাগত বলে দাবি করে তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়ার নেতৃত্বে তৃণমূলের কর্মীরাও বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা তৈরি হলে পুলিশ দু’পক্ষকে সরানোর চেষ্টা করে। এর মধ্যেই তৃণমূল এবং বিজেপি কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়। বিজেপির অভিযোগ, তাদের এক কর্মীর মাথা ফেটে গিয়েছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে এলাকায় পৌঁছয় আরও পুলিশ বাহিনী। দুই পক্ষকে হটিয়ে দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এদিন বিজেপি বিধায়ক লক্ষ্মণ ঘোড়ুই পুলিশকে দাদাল বলে কটাক্ষ করে দাবি করেন পুলিশ বীরভূমের গুন্ডাদের পাহারা দিয়ে ঢোকাচ্ছে। ভোট লুট করতে সাহায্য করছে। অন্যদিকে তৃণমূল নেতা বিনোদ নুনিয়া সংঘর্ষের কথা অস্বীকার করে দাবি করেন, লক্ষ্মণ ঘোড়ুই দুর্গাপুর থেকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে জমায়েত করেছিলেন। পুলিশ তাদের সরিয়ে দেওয়ার সময় লাঠিচার্জ করেছে।