বিশেষ সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- স্ত্রী সুচিস্মিতার ‘অগাধ’ সম্পদ নিয়ে এবার বিড়ম্বনায় আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায়। তার স্ত্রী এত কোটি কোটি টাকার হঠাৎ কোথা থেকে এল- তা নিয়ে প্রশ্নের মুখে পড়ে কার্যতঃ বিব্রত আসানসোলের ভোটপ্রার্থী বিধান।
রাজ্য জুড়ে নেতা-মন্ত্রীদের বিপুল সম্পদের উৎস খুঁজতে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের করা একটি জনস্বার্থ মামলাকে ঘিরে যখন দারুন চাঞ্চল্য তখনই আসানসোলের পুরোভোটের উপনির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী বিধানের পরিবারের গত ১২ বছরের উল্কা গতিতে যে সম্পদ বৃদ্ধির তথ্য সামনে এসেছে তা নিয়ে এবার হৈ চৈ শুরু হয়েছে।
বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তিনবারের বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়। এক সপ্তাহ আগেই দলের জেলা সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে। তিনি গত ছ’মাস যাবৎ আসানসোল নগর নিগমের মেয়র পদে বহাল ছিলেন। ভোটে জেতেন নি, তাই নিয়ম মোতাবেক তাকে ভোটে জিতিয়ে আনতে এখানকার ৬ নং ওয়ার্ডটিকে বেছে নেওয়া হয়। সেখানকার কাউন্সিলর সঞ্জয় ব্যানার্জীকে পদত্যাগ করিয়ে বিধানকে প্রার্থী করেছে তৃণমূল। সেই ভোটেরই মনোনয়ন দাখিলে বিধান তার নিজের ও স্ত্রী সুচিম্মিতার আয়কর রিটার্নের যে কপি জমা করেছেন, তাতে দেখা যাচ্ছে -২০২০-২১ অর্থবর্ষে সুচিস্মিতার হাতে ১.২৪ কোটি টাকা ও ২.৭৫ কোটি টাকার জমিবাড়ি রয়েছে। এই সুচিস্মিতার ২০০৯-১০ সালে অর্থবর্ষের রিটার্ন মোতাবেক বার্ষিক আয় ছিল ১০.৪৩ লক্ষ টাকা।
২০০৯-১০ বর্ষে বিধানের আয়কর রিটার্ন ফাইল মোতাবেক আয় ছিল ৩.৮১ লক্ষ টাকা, যা ২০২১-২২ এ দাঁড়িয়েছে ১৩.১২ লক্ষে। তার স্ত্রীর এই সম্পদই এবার ভোটের মুখে বেশ বিড়ম্বনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিধানের কাছে। বিষয়টি নিয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেস অবশ্য এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া দেয়নি। টিপ্পনি কাটেনি জেলা বিজেপি বা জেলা সিপিএমও।