সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- পশ্চিম বর্ধমানের রানীগঞ্জের বাঁশড়া খোলামুখ খনতি আগুন লেগে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়াল। জানা গেছে অন্যান্য দিনের মতোই এদিনও খনি থেকে কয়লা উত্তোলনের কাজ চলছিল। সেই সময় হঠাৎ করেই এই খোলামুখ খনির তিনটি গহ্বর থেকে দাউ দাউ করে আগুন বেরতে দেখেন খনি কর্মী ও স্থানীয়রা। কয়লা স্তরে আগুন ক্রমশই ছড়িয়ে পড়তে থাকে। মাঝে মাঝেই বিকট শব্দের সাথে ফাটছে থাকে কয়লা স্তর এবং খনি সংলগ্ন এলাকায় একাধিক জায়গায় মাটি ফেটে ধোঁয়া বেরোতে শুরু করে। তড়িঘড়ি দমকলে খবর দেওয়া হলেও দমকলের ইঞ্জিন খনিগহ্বর যেখান থেকে আগুন বেরোচ্ছিল সেখানে পৌঁছতে না পেরে দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর ফিরে যায়। অন্যদিকে ততক্ষণে খবর পেয়ে ছুটে যায় ইসিএলের আধিকারিকরা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন কুনুস্থোড়িয়া এরিয়ার জেনারেল ম্যানেজার। তার নির্দেশক্রমে কয়লা খনি গহ্বরের অংশটিকে মাটির দিয়ে ভরাট করে আগুন নেভাবার কাজ শুরু হয়।
অন্যদিকে কয়লা খনিতে আগুন লাগার ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানী বাঁশড়া গ্রামের বাসিন্দারা । তাদের দাবি সঠিকভাবে কয়লা খনির আগুন যদি না নেভানো হয়, তাহলে কয়লা স্তরে সেই আগুন ছড়িয়ে পড়বে এবং এলাকায় সেই আগুনের প্রভাব বিস্তার করবে। যার ফলে ধসের ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। উল্লেখ্য, এই কয়লা খনি যেখানে রয়েছে তার কিছুটা দূরেই রয়েছে রেল লাইন আর এই কয়লা খনির ঠিক কয়েকশো মিটার দূরে রয়েছে ইন্ডিয়ান অয়েল এর পাইপলাইন যা এই কয়লা খনির আগুনের দ্বারা প্রভাবিত হতে পারে বলেও অনেকে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। একইভাবে খনি লাগোয়া অংশে রয়েছে একটি আন্ডারগ্রাউন্ড মাইন্স। সেটিও এই অগ্নিকাণ্ডে প্রভাবিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। যদিও ইসিএল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে বিষয়টিকে নিয়ে তারা সচেতন রয়েছেন। খুব শীঘ্রই খনির আগুন নিভিয়ে ফেলা হবে।
উল্লেখ্য কয়লা খনিতে আগুন লাগার ঘটনা নতুন কিছু নয়। এর আগেও বহুবার কয়লা খনির কয়লা স্তর অক্সিজেনের সংস্পর্শে চলে আসায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। আর এই অগ্নিকাণ্ডের জেরে প্রায়ই খনির আশেপাশে ধসের ঘটনা দেখতে পাওয়া যায়।