সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- এক ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্রীর ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়াল আসানসোলের হীরাপুরে। মৃত ওই ছাত্রীর নাম কোয়েল হাঁসদা, বয়স ২২ বছর। মঙ্গলবার রাতে হীরাপুর থানার অন্তর্গত নিউটাউন এলাকা থেকে তার দেহ উদ্ধার হয়।
পরিবার সূত্রে জানা গেছে আসানসোল ইঞ্জিয়ারিং কলেজের ছাত্রী ছিল কোয়েল। বাড়ি থেকেই কলেজে যাতায়াত করত সে। গত পরশু ২৭ তারিখ সন্ধ্যে ৭ টা নাগাদ দোকানে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়ে যায় সে। সারা রাত ধরে ফোনে তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও সফল হননি পরিবারের লোকজন। কারণ সন্ধ্যের পর থেকেই তার ফোন সুইচ অফ ছিল। অবশেষে মঙ্গলবার সকালে থানায় নিখোঁজের একটি অভিযোগ দায়ের করেন ছাত্রীর বাবা। এরপর পুলিশ ও পরিবারের লোকজন একাধিক জায়গায় খোঁজখুজি করলেও তার খোঁজ মেলেনি। অবশেষে এদিন রাতে নিউটাউন এলাকায় তার দেহ পড়ে থাকতে দেখেন স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ দেহ উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।
মৃত ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের দাবি পরিকল্পনা করে খুন করা হয়েছে তাদের মেয়েকে। যদিও কে বা কারা এই খুন করল সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেননি তারা। পুরো বিষটি নিয়ে তদন্তের দাবি জানিয়েছেন পেশায় শিক্ষক মৃতার বাবা লক্ষ্মীনারায়ণ হাঁসদা। অন্যদিকে বুধবার সকাল থেকে দোষীদের গ্রেফতারের দাবিতে হীরাপুর থানার সামনের রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আদিবাসী সম্প্রদায়ের মানুষজন। কয়েক ঘণ্টা ধরে অবরোধ চলার পর ডিসিপি অভিষেক গুপ্তার আশ্বাসে অবরোধ ওঠে। ডিসিপি অভিষেক জানিয়েছেন ঘটনায় একজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে পাশাপাশি আরও কয়েক জনের খোঁজে তল্লাশি জারি রয়েছে।