সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- বর্তমানে কয়লার পাশাপাশি গরু পাচারকাণ্ড নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। এই দুই কাণ্ডে তদন্ত শুরু করেছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা। ইতিমধ্যে গ্রেফতারও হয়েছেন শাসকল দলের হেভিওয়েট নেতা সহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। এরই মধ্যে ঝাড়খণ্ড থেকে এই রাজ্যের মধ্যে দিয়ে বাংলাদেশ সীমান্তে গরু পাচারের অভিযোগ উঠল।
জানা গেছে গরু পাচারের জন্য মূলত পিকআপ ভ্যান ব্যবহার করে পাচারকারীরা। এক একটি গাড়িতে চার থেকে পাঁচটি গরু তোলা হয় এবং ত্রিপল দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়। যাতে গাড়িতে কি আছে দেখে কিছু বোঝা না যায়।
কিন্তু ঝাড়খণ্ড-বাংলা সীমান্তে কড়া পুলিশি নজরদারি সত্ত্বেও কীভাবে এরাজ্যে ঢুকছে গরু পাচারকারীরা? অভিযোগ এখানে রক্ষকই ভক্ষকের ভূমিকা পালন করছে। সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ টাকা নিয়ে এই পাচারে সাহায্য করে পাচারকারীদের। ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ দুই রাজ্যের পুলিশই গাড়ি প্রতি ৩০০ টাকা করে নিয়ে গাড়ি ছেড়ে দেয়। অভিযোগ অনেক সময় লোকদেখানো ধরপাকরও চলে। রাতে আটক করা গাড়ি সকালেই ফের ছেড়ে দেওয়া হয়।
প্রশ্ন উঠছে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা যেখানে রাজ্যের গরু পাচার নিয়ে তৎপরতা দেখাচ্ছে, তখন তাদের নজর এড়িয়ে কীভাবে চলছে গরুর এই রমরমা পাচার।