সন্তোষ মণ্ডল, আসানসোলঃ– আসানসোল পুরনিগমের এক ইঞ্জিনিয়ারকে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠল এক প্রোমোটারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রমোটারের বিরুদ্ধে থানার লিখিত অভিযোগ জানানো হয়েছে। অন্যদিকে বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপের কথা জানিয়েছেন মেয়র।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেছে আসানসোল দক্ষিণ থানার আড়াডাঙ্গার বাসিন্দা প্রমোটার আশীষ প্যাটেলের একটি নির্মাণকাজের প্ল্যান পুরসভায় আটকে রয়েছে। অভিযোগ সেই নির্মাণের বিরাট একটা অংশ বেআইনি। তার জন্য পুরসভার তরফে জরিমানাও করা হয়েছে। আর সেই ফাইন না জরিমানা কমানোর জন্য সোমবার রাতে আসানসোলের ইসমাইলের বিআরএমবি রোডের গুরুনানক পল্লীর বাসিন্দা পুরসভার ইঞ্জিনিয়ার অভিজিৎ অধিকারীর বাড়িতে ৫০/৬০ জনকে নিয়ে ওই প্রোমোটার হুমকি দিয়ে আসেন বলে অভিযোগ।
এবিষয়ে অভিজিৎবাবু বলেন, “সোমবার রাত সাড়ে নটা নাগাদ আমার বাড়িতে ওই প্রোমোটার ৫০/৬০ জনকে নিয়ে আসেন, তখন আমি বাড়িতে ছিলাম না। আমার স্ত্রী ছিলেন। সে মোবাইলে ফোন করে আমাকে ডাকে। আমি যাওয়ার পরে আমাকে হুমকি দেওয়া হয়।” তিনি আরো বলেন, “বিষয়টি আমার ব্যক্তিগত নয়। গোটা বিষয়টি একবারে সরকারি। তাই গোটা বিষয়টি আমি মেয়রকে জানিয়েছি। এরপর যা ব্যবস্থা নেওয়ার তিনি নেবেন।” পাশাপাশি হীরাপুর থানাতেও অভিযোগ জানান তিনি।
অন্যদিকে এই বিষয়ে আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায় জানান, “এই ধরনের ঘটনা একেবারেই কাম্য নয়। তিনি একজন সরকারি কর্মচারী। পুরনিগমের এক্সিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করছেন। তার বাড়িতে গিয়ে এই ধরনের অনৈতিক কাজকর্ম একেবারেই সমর্থন করা হবে না। পুলিশকে বিষয়টি নিয়ে অভিযোগ জানানো হয়েছে। দোষীদেরকে গ্রেফতার করে আইনগত ও সরকারিভাবে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”
এদিকে বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। তাদের অভিযোগ ওই প্রমোটারের পিছনে তৃণমূল নেতাদের সমর্থন রয়েছে, এটাই তৃণমূলের কালচার। আসানসোলে যেসব অবৈধ কাজ ও নির্মাণ হচ্ছে, সবকিছুর সঙ্গে তৃণমুল কংগ্রেস জড়িত রয়েছে। যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক ভি শিবদাসন বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শাসনকালে এই ধরনের কাজ করা চলবে না। ওই প্রোমোটারের পেছনে যেই থাক না কেন, তাকে চিহ্নিত করতে হবে। তার বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নিতে হবে পুলিশকে।”
অন্যদিকে, হিরাপুর থানার পুলিশ জানায়, ঘটনা নিয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রোমোটারের খোঁজ করার পাশাপাশি তদন্ত শুরু করা হয়েছে।