eaibanglai
Homeএই বাংলায়আসানসোলে সক্রিয় কুখ্যাত 'জামতাড়া গ্যাং', গ্রেফতার তিন

আসানসোলে সক্রিয় কুখ্যাত ‘জামতাড়া গ্যাং’, গ্রেফতার তিন

সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ- এবার সাইবার অপরাধের ঘটনার তদন্তে নেমে বড় সড় সাফল্য পেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের আসানসোল সাইবার ক্রাইম পুলিশ থানা। আসানসোলের এক মহিলার ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে প্রায় ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত ‘জামতাড়া গ্যাং’র সঙ্গে জড়িত তিন জনকে গ্রেফতার করলো পুলিশ। ধৃতরা হল চঞ্চল পাল, সঞ্জয় মণ্ডল ওরফে গণেশ এবং অনিল শর্মা। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ২০ টি এটিএম কার্ড ও নগদ ২৫ হাজার টাকা।

আসানসোল সাইবার থানা সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের জুন মাসে সালানপুর থানার রুপনারায়ণপুরের বাসিন্দা জনৈক সুকুমার মুখোপাধ্যায়ের স্ত্রীর ব্যাঙ্ক একাউন্ট থেকে সাড়ে ১০ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নেয় সাইবার প্রতারকরা। মূলতঃ এটিএম কার্ডের ” উইথড্র লিমিট ” বাড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে সুকুমারবাবুর স্ত্রীর কাছ থেকে ” ওটিপি ” নিয়ে ওই টাকা হাতিয়ে নিয়েছিলো সাইবার অপরাধীরা। এরপরই সাইবার থানার দ্বারস্থ হন সুকুমারবাবু এবং ঘটনার তদন্তে নেমে তিনটি অ্য়াকাউন্ট ব্লক করে ৬ লক্ষ ৪৬ হাজার টাকা উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ। এরপর বাকি টাকার হদিশ পেতে ফোনের সূত্র ধরে প্রথমে রানিগঞ্জের বাসিন্দা চঞ্চল পালের হদিশ পায় পুলিশ। তাকে জেরা করতেই উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য। পুলিশ জানাতে পারে ধৃত চঞ্চল পালের সঙ্গে ‘জামতাড়া গ্যাং’র যোগ রয়েছে এবং তার আরও দুই সঙ্গী সঞ্জয় মণ্ডল ওরফে গণেশ ও অনিল শর্মাকে গ্রেফতার করে। ধৃত চঞ্চল পাল আসানসোলের রানিগঞ্জ থানার বল্লভপুরের সাহেববাঁধের বাসিন্দা। তাকে গত মঙ্গলবার গ্রেফতার করে বুধবার সাতদিনের পুলিশ হেফাজতে নেয় সাইবার থানা। একইভাবে বাঁকুড়ার মেজিয়ার বাসিন্দা সঞ্জয় মণ্ডল ওরফে গণেশকে বৃহস্পতিবার ও আসানসোলের বাসিন্দা অনিল শর্মাকে শুক্রবার ৫ দিনের জন্য হেফাজতে নেওয়া হয়।

তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছে ধৃত সঞ্জয় মণ্ডল ওরফে গণেশের সরাসরি যোগ রয়েছে ঝাড়খণ্ডের কুখ্যাত ‘জামতাড়া গ্যাং’র মূল চক্রী বা পাণ্ডাদের। ধৃত অনিল শর্মা আসানসোল একটি বেসরকারি মোবাইল ফোন কোম্পানির স্টোরের কর্মী। তার কাজ ছিলো সাইবার অপরাধের মাধ্যমে প্রতারণা করে হাতানো টাকা নির্দিষ্ট একাউন্টে জমা পড়লে, তা এটিএম কার্ড দিয়ে তুলে নেওয়া। সেই টাকাটা এরপর সঞ্জয় মণ্ডল ওরফে গণেশ ‘জামতাড়া গ্যাং’র কাছে পৌঁছে দিতো। এর বিনিময়ে তারা একটা কমিশন পেতো।

প্রসঙ্গত বছর কয়েক আগে দেশের বিভিন্ন প্রান্তের বাসিন্দাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ড থেকে সাইবার প্রতারণার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে সংবাদ শীরোনামে উঠে আসে ঝাড়খন্ডের ‘জামতাড়া গ্যাং’। আপাতত এই গ্যাংয়ের সাথে যুক্ত তিনজনকে জেরা করে কুখ্যাত ওই গ্যাংয়ের মাথা পর্যন্ত পৌঁছে পাণ্ডাদের গ্রেফতার করার চেষ্টা চালাচ্ছে আসানসোল সাইবার থানা।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments