সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- গতকাল আসানসোলের বারাবনি বিধানসভার সালনপুরে নির্বাচনী প্রচারে বিজেপি নেতা তথা আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে ‘সবচেয়ে বড় চোর বলে’ কটাক্ষ করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তারই প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে অভিষেককে পাল্টা বিঁধলেন জিতেন্দ্র।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে পাণ্ডবেশ্বরের প্রাক্তন বিধায়ক বলেন, “এতো কয়লা কয়লা করছে কেন বুঝতে পারছি না। মনে হচ্ছে অন্নপ্রাশনের সময় বাড়ির লোকেরা পায়েস না খাইয়ে ৫০ গ্রাম কয়লা খাইয়েছিলেন। আমি যদি এতোই খারাপ, তাহলে দল ছাড়ার সময় অতো পায়ে ধরেছিলো কেন?” এরপর রীতিমতো হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, “পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে আমার আসানসোল ঢোকা আটকে রেখেছে কেন? একবার আসানসোলে ঢুকতে দিক না, তারপর বোঝা যাবে কত ধানে কত চাল।”
প্রসঙ্গত গতকাল আসানসোলের বারাবনির সালপুরে একটি রোড শোয়ে অংশ নিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই রোড শো থেকেই একযোগে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী ও বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারিকে নিশানা করেন তিনি। অভিষেক বলেন,” প্রধান মন্ত্রী দু’দিন আগে বলেছেন যে দুর্নীতির বিরুদ্ধে গ্যারেন্টার তিনি। দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে নাকি ব্যবস্থা নিচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিম বর্ধমান জেলার সবচেয়ে বড় চোর জিতেন্দ্র তিওয়ারি। সে গিয়ে বসে আছে বিজেপিতে, আর প্রধানমন্ত্রী নাকি দুর্নীতিগ্রস্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার গ্যারেন্টার। যাকে নারদায় কাগজে মুড়ে নির্লজ্জের মতো, দু’কান কাটার মতো হাত বাড়িয়ে টাকা নিতে দেখা গিয়েছে সে আজকে বিজেপির বড় নেতা। আর প্রধানমন্ত্রি নাকি গ্যারেন্টার।”
এদিন শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে করা কটাক্ষ মন্ত্যেবর বিরুদ্ধেও পাল্টা অভিষেককে আক্রমণ করেন জিতেন্দ্র। তিনি বলেন, “উনি বুঝে গেছেন আগামী দিনে শুভেন্দু অধিকারী বাংলার উত্তরাধিকার। যার পরিচয়ে উনি নেতা হয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী তাকে পরাজিত করে এসেছেন নন্দীগ্রাম থেকে। আসল কথা হলো বারবার শুভেন্দু অধিকারীর নাম মুখে এনে, উনি নিজে পপুলার হতে চাইছেন।”
উল্লেখ্য গত মঙ্গলবার মধ্য প্রদেশের ভোপালে বিজেপির বুথ স্তরের কর্মীদের এক সভায় দুর্নীতি নিয়ে বিরোধীদের তীব্র আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। নিশানায় নেন তৃণমূল কংগ্রেসকেও। সেই প্রসঙ্গ টেনেই গতকালের রোড শো থেকে প্রধানমন্ত্রী ও রাজ্যের দুই বিজেপি নেতার বিরুদ্ধে আক্রমণ শানেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক।