সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- জামুড়িয়া থানার কেন্দা কোলিয়ারির কেন্দা গ্রামের আবার ধসের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। এবার কেন্দা গ্রামের শম্ভু বাউরি পাড়ায় ধস দেখা দিয়েছে, যার জেরে প্রায় ২০ ফুট গভীর একটি গর্ত তৈরি হয়েছে। ধসটি স্থানীয় আইসিডিএস কেন্দ্রের ঠিক পিছনে একটি বাড়ির উঠোনে হওয়াতে আতঙ্কের মহল তৈরি হয়েছে এলাকা। ইতিমধ্যেই ধসের জেরে তৈরি হওয়া গর্তে মাটি ফেলার কাজ শুরু করেছে ইসিএল। অন্যদিকে এদিনের ঘটনার জেরে ফের পুনর্বাসন নিয়ে সরব হয়েছেন স্থানীয়রা। প্রসঙ্গত ২০০৫ সালে কেন্দা গ্রামকে ধস-প্রবণ এলাকা হিসেবে ঘোষণা করে পুনর্বাসনের দেওয়ার যোগ্য বলে চিহ্নিত করে ডিজিএমএস।
আরতি বাউরি নামের এক স্থানিয় বাসিন্দা বলেন, “আমরা ছোটো ছোটো ছেলেদের নিয়ে সারাক্ষণ ভয়ে আছি।বহুবার গ্রামের বিভিন্ন জায়গায় ধস নেমেছে। তখন আমাদের অস্থায়ীভাবে অন্য জয়াগাতে, কখনো স্থানীয় বিদ্যালয়ে কখনো বা কোলিয়ারির ফাঁকা কোয়ার্টারে সরানো হয়। আবার কিছুদিন পর আমাদের মরতে গ্রামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এর থেকে আমাদেরকে হয় পুনর্বাসন দেওয়া হোক না হলে ধসের মাটি দেওয়ার সময় আমাদেরকেও মাটি চাপা দিয়ে দেওয়া হোক।” টুম্পা বাউরি,সন্ধ্যা বাউরি,চম্পা বাউরিরা বলেন, “যতবার ধসের ঘটনা ঘটে ততবার প্রশাসনের সবাইকে জানানো হয়। ইসিএলের প্রশাসনিক লোক, পুলিশ, এজেন্ট ম্যানেজার সবাই আসে, দেখে আর চলে যায়। আমাদের ব্যাবস্থা কেউ করেনা।”
এবারও ধসের ঘটনার পর গ্রামবাসীরা মিলে কেন্দা কোলিয়ারির এজেন্টকে একটি মাস পিটিশন দেয়। তাতে গ্রামবাসীরা জানিয়েছেন কোলিয়ারির জন্য গ্রামে চাষবাস বন্ধ ,পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে আর গ্রামের যেখানে সেখানে ধস নামছে। তাই অবিলম্বে তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। গ্রামরক্ষা কমিটির সদস্য সন্দীপ ব্যানার্জী বলেন, “ইসিএলের পক্ষ থেকে আমাদেরকে সাতদিন সময় চাওয়া হয়েছে। আমরাও দেখি ইসিএল কি করছে তারপর আমরা বৃহত্তর আন্দোলনে নামবো।”