eaibanglai
Homeএই বাংলায়একইসঙ্গে যুবক গৃহশিক্ষক ও তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেহ উদ্ধার

একইসঙ্গে যুবক গৃহশিক্ষক ও তার বৃদ্ধ বাবা-মায়ের দেহ উদ্ধার

সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– ষষ্ঠীতে মা দুর্গার বোধনের দিনই আসানসোলের বরাকরে এক গৃহ শিক্ষক ও তার বাব মার দেহ উদ্ধার করল পুলিশ। মৃতরা হলেন বছর ২৬-এর যুবক শঙ্কর রায়, তার বাবা সুদীপ্ত রায় ওরফে মিঠু রায় বয়স ৭০ ও মা রুমা রায় বয়স ৬১ বছর।

জানা যায় গতকাল দুপুর ১২ টা নাগাদ ওই পরিবারে কর্মরত পরিচারিকা কাজ করতে গিয়ে বাড়ির মেন গেট বন্ধ দেখে ও ডাকাডাকি করেও সাড়া না পেয়ে চলে যায়। পরে দুপুর তিনটে নাগাদ ফের কাজ করতে গিয়ে কোনও সাড়া শব্দ না পেয়ে প্রতিবেশীদের বিষয়টি জানান। তারাই পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে বরাকর ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় ও পাঁচিল টপকে দেখতে পায় বাড়ির সদর দরজায় তালা দেওয়া । এরপর স্থানীয়দের সাহায্যে দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে পুলিশ দেখতে পায় একটি ঘরে সুদীপ্ত রায়ের দেহ চাদর ঢাকা দিয়ে শায়িত আর অন্য ঘরে একই দড়িতে ঝুলছে মা রুমা রায় ও ছেলে শঙ্কর রায়ের দেহ। স্থানীয়দের দাবি ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার হয়েছে যাতে ব্যাঙ্কের কথা উল্লেখ আছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল থেকে কিছু সোনার গয়না সহ পুলিশ একটি ব্যাগও উদ্ধার করে বলে দাবি এলাকাবাসীর। পুলিশ দেহগুলি উদ্ধার করে আসানসোল জেলা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়ে দেয়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে বলে দাবি পুলিশের।

অন্যদিকে পুজোর দিনে এই মার্মান্তিক ঘটনায় শোকাহত হয়ে পড়েন প্রতিবেশীরা। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে পেশায় গৃহশিক্ষক শঙ্কর রায় তার বাবা মায়ের একমাত্র সন্তান ছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিন জনের ওই পরিবারটির এলাকায় বসবাস। তবে সম্প্রতি শঙ্কর রায়ের বাবা বৃদ্ধ সুদীপ্ত রায় অসুস্থ হয়ে শয্যাশায়ী হয়ে পড়েছিলেন। পাশাপাশি পরিবারটি ঋণগ্রস্ত হয়ে পড়িছিল বলেও দাবি স্থানীয়দের। তার জেরেই কি একসঙ্গে আত্মহত্যার মতো মর্মান্তিক সিদ্ধান্ত নিল পরিবারটি! এরকমই নানা প্রশ্ন ঘোরাফেরা করছে এলাকাবাসীদের মধ্যে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -
Google search engine

Most Popular

Recent Comments