সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসা চলছেই। আসানসোলের পুচড়া পঞ্চায়েতের নতুন ডি গ্রামের তৃণমূল সিপিএমের সংঘর্ষের ঘটনায় উত্তেজনা ছড়াল। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা গেছে গতকাল সন্ধ্যায় গ্রামের কয়েকজন যুবক যাদের মধ্যে কয়েকজন তৃণমূল সমর্থম হিসেবে পরিচিত এলাকার লক্ষ্মী মন্দিরের দাওয়ায় বসে গল্প করছিলেন। সেই সময় সিপিআইএমের দুই সমর্থক তপন দাস ও দীপক দাস তাদের সেখানে বসতে বাধা দেয় এবং সেখান থেকে চলে যেতে বলে। ওই যুবকেরা ওই সময় ওই স্থান ছেড়ে চলেও যায়। বিষয়টি তখনকার মিটমাট হয়ে যায়। অভিযোগ এরপর তপন দাসের নেতৃত্বে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ জন মন্দিরের পাশেই থাকা প্রদীপ পাল নামের এক তৃণমূল সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালায়। বাড়িতে ব্যাপক হারে ইটপাথর ছোঁড়া হয়। যার ফলে বাড়িতে থাকা দুজন ইটের ঘায়ে আহত হন।
অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারের এসিপি প্রতীক রায় ,হিরাপুর থানার সার্কেল ইন্সপেক্টর শিবনাথ পাল,বারাবনি থানা ইনচার্জ মনোরঞ্জন মন্ডল সহ বিশাল পুলিশ বাহিনী এবং কয়েকজন সিপিএম কর্মীকে আটক করে নিয়ে যায়। পাশাপাশি গ্রমজুড়ে শুরু হয় পুলিশি টহলদারি।
অন্যদিকে হামলার শিকার হওয়া প্রদীপ পালের অভিযোগ , তিনি তৃণমূল করেন এবং তৃণমূলের লোকেদের সাথে মেলামেশা করেন বলেই তার বাড়িতে হামলা চালানো হয়ছে। এদিকে বারাবনি ব্লক তৃণমূলের সভাপতি অসিত সিং জানান ওই গ্রামের কিছু গুন্ডা বাহিনী যারা সিপিএম আশ্রিত তারা মদ খেয়ে গ্রামে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করতে চাইছে । কারন তারা জেনে গেছে তারা হারছে তাই অশান্তি করে গ্রামের মানুষকে অস্বস্তিতে ফেলতে চাইছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক ব্যানার্জি চেয়েছিলেন স্বচ্ছ ভোট হোক তাই স্বচ্ছ ভোট হয়েছে এবং মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।এই অবস্থায় সিপিএম ও বিজেপির কর্মীরা কিছু বুঝে উঠতে না পেরে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে এলাকায় এলাকায়। তবে এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসন তাদের কর্তব্য পালন করছে।