সন্তোষ মণ্ডল,আসানসোলঃ– এই প্রথমবার আসানসোল শহরে অনুষ্ঠিত হল দুর্গাপুজো কার্নিভাল। আর পুজো কার্নিভাল ঘিরে রীতিমতো উৎসাহ ও উদ্দিপনায় মেতে ওঠল শহরবাসী। এই কার্নিভালে অংশ নিয়েছিল মহকুমার ১৪ টি দুর্গাপুজো কমিটি।
এদিন এই পুজো কার্নিভালের মূল মঞ্চ তৈরি করা হয়েছিলো শহরের জিটি রোডের বিএনআর মোড় ও ভগৎ সিং মোড়ের ঠিক মাঝখানে। কার্নিভালের রুট নির্দিষ্ট করা হয়েছিলো রবীন্দ্র ভবনের সামনের রাস্তা হয়ে জিটি রোড দিয়ে ভগৎ সিং মোড় পর্যন্ত। বিকেল চারটে নাগাদ প্রদীপ জ্বালিয়ে কার্নিভালে শুভ উদ্বোধন করা হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, আসানসোলের সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা, পশ্চিম বর্ধমান জেলার জেলাশাসক পোন্নাবলম এস, আসানসোল দূর্গাপুরের পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী, পশ্চিম বর্ধমান জেলা পরিষদের সভাধিপতি বিশ্বনাথ বাউরি, আসানসোল দুর্গাপুর উন্নয়ন পর্ষদ বা আড্ডার চেয়ারম্যান বিধায়ক তাপস বন্দোপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের মেয়র তথা বারাবনির বিধায়ক বিধান উপাধ্যায়, আসানসোল পুরনিগমের দুই ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক ও ওয়াসিমুল হক, জামুড়িয়ায় বিধায়ক হরেরাম সিং। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের মহকুমাশাসক অভিজ্ঞান পাঁজা, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের ডিসিপি (সেন্ট্রাল) কুলদীপ সোনেয়াল সহ পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা। এর পাশাপাশি কার্নিভালে অংশগ্রনকারী পুজো কমিটিগুলির মধ্যে সেরা পুজো বাছাই করতে বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের সেক্রেটারি মহারাজ স্বামী সৌমাত্বানন্দজী মহারাজ, শিল্পী সুশান্ত রায় ও আসানসোলের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের প্রধান শিক্ষক রবি ভিক্টর। প্রতিযোগিতায় প্রথম দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থান অধিকার করে যথাক্রমে কল্যানপুর কে সেক্টর, বার্ণপুরের নবজোয়ান ও কল্যানপুর আদিপুজো কমিটি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পরে একবারে শুরুতে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের পাশাপাশি আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্কুটি ও মোটরবাইক বাহিনীর রোডশো হয়। এরপর বিকেল পাঁচটা নাগাদ কার্নিভালের শোভাযাত্রায় প্রথম পুজো হিসাবে অংশ নেয় বার্ণপুরের নেতাজি স্পোর্টিং ক্লাব। তারপর একে একে আসে অন্য পুজো কমিটিগুলো। উদ্যোক্তা বা ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা নিজেদের সাবেকি পোশাকে ট্রেলারে চাপানো দুর্গা প্রতিমার সামনে হেঁটে হেঁটে এগিয়ে যান। মূল মঞ্চের সামনে অতিথি ও বিচারকদের সামনে প্রতিটি ক্লাবের সদস্য ও সদস্যারা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন। তার মধ্যে ছিলো পুরুলিয়ার ছৌ নৃত্য, আদিবাসী নৃত্য ও বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প।
প্রসঙ্গত পশ্চিম বর্ধমান জেলা একমাত্র জেলা যেখানে দুটি মহকুমা অর্থাৎ দুর্গাপুর ও আসানসোলে দুটি পুজো কার্নিভাল একদিনে আয়োজন করা হয়। দুর্গাপুরের পুজো কার্নিভালের অনুষ্ঠানটি শুরু হয় দুপুর দুটো নাগাদ। সেখানে উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার ও মলয় ঘটক, আসানসোলের সাংসদ, পশ্চিম বর্ধমানের জেলাশাসক ও আসানসোল দূর্গাপুর পুলিশ কমিশনার।