রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল, পশ্চিম বর্ধমান -: কার্যত দুর্গা মূর্তি তৈরি করা শুরু হলেই বাতাসে ছড়িয়ে পড়ে পুজো পুজো গন্ধ। কাশফুল সেই গন্ধে আলাদা মাত্রা এনে দেয়। বিদ্যালয় ফেরত কচিকাচারা উঁকি দিয়ে ঠাকুর তৈরি করা দ্যাখে। মহালয়ার দিন থেকেই পুরোপুরি পুজোর আমেজ দ্যাখা যায়। প্রবাসীরা ধীরে ধীরে নিজের নিজের বাড়িতে ফিরতে শুরু করে। সবার আগমনে নিজেদের এলাকা গুলো জমজমাট হয়ে ওঠে।
ওদিকে মহালয়ার ভোরবেলায় গোটা রাজ্যজুড়ে বেতার তরঙ্গে বীরেন্দ্রকৃষ্ণ ভদ্রের উদাত্ত কণ্ঠে ভেসে আসে ‘যা দেবী সর্বভূতেষু শক্তি রূপেণ সংস্থিতা…’। সেই পাঠ বাংলার আকাশে বাতাসে অন্য ধরনের অনুভূতি এনে দেয়। ব্যস্ততা ওঠে চরমে।
দেবীপক্ষের শুরুতে মহালয়ার সন্ধ্যায় পশ্চিম বর্ধমান জেলায় ১৪ টি দুর্গাপূজা মণ্ডপের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রবিবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কলকাতা থেকে ভার্চুয়াল আসানসোল এবং দুর্গাপুর মিলিয়ে জেলার মোট ১৪টি পূজো মণ্ডপের উদ্বোধন করেন।
আসানসোলের আপকার গার্ডেন দুর্গাপূজা কমিটি পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে রাজ্যের আইন ও শ্রম মন্ত্রী মলয় ঘটক, পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী জেলা শাসক পোন্নাবালাম এস, আসানসোল মহুকুমা শাসক (সদর) বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য সহ আরো অনেকেই উপস্থিত ছিলেন ।
অন্যদিকে বারাবনি বিধানসভার সালানপুর ব্লকের পিঠাকেয়ারিতে এক পুজোর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিধায়ক তথা আসানসোল পুরনিগমের মেয়র বিধান উপাধ্যায়, আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশের ডিসিপি (পশ্চিম) সন্দীপ কাররা সহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
আপকার গার্ডেন দুর্গা পুজা কমিটি, চতুরঙ্গ পুজো কমিটি,
ডুমুরতলা ইয়ুথ সেন্টার দুর্গাপূজা কমিটি,
সার্বজনীন শ্রী শ্রী দুর্গা ও লক্ষ্মী পুজা কমিটি,
দোবরানা সুভাষপল্লী সার্বজনীন দুর্গা পুজা কমিটি,
সাহেবগঞ্জ সার্বজনীন দুর্গা পুজা কমিটি,
মান্দারবনি কোলিয়ারি সার্বজনীন,খাস কাজোড়া সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি,
পানাগড় বাজার সর্বজনীন দুর্গোৎসব (মিত্র সংঘ),
নবগ্রাম সার্বজনীন দুর্গাপূজা কমিটি, কল্যানপুর আদি পুজা, কল্যানপুর কে সেক্টর দুর্গা পুজা কমিটি, আসানসোল রবীন্দ্রনগর উন্নয়ন সমিতি ও ভানোরা কোলিয়ারি সার্বজনীন দুর্গা পুজা।