নিজস্ব সংবাদদাতা, দুর্গাপুরঃ- বিয়ের মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে বাংলাদেশী ছাত্রীকে শারীরিকভাবে শোষন করার অভিযোগ উঠল কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের এক অধ্যাপকের বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে খোঁজখবর করতে শনিবার দুর্গাপুরে পৌঁছয় মহিলা কমিশনের দুই সদস্যের এক প্রতিনিধি দল। নিগৃহীতা ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি দুর্গাপুর মহিলা থানার পুলিশের সঙ্গেও দেখা করে পুরো বিষয়টি নিয়ে পিরোর্ট তলব করে মহিলা কমিশন। অভিযোগকারী ছাত্রীর পাশে থেকে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করারও আশ্বাস দেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা।
ঘটনা প্রসঙ্গে জানা যায় বাংলাদেশের রংপুর জেলার বাসিন্দা ওই ছাত্রী কাজী নজরুল বিশ্ববিদ্য়ালয়ে স্নাতকোত্তর বাংলা বিভাগের ছাত্রী। ছাত্রীর দাবি বাংলা বিভাগের এক সহকারী অধ্যাপকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং ওই অধ্যাপক তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিনের পর দিন সহবাস করে। কিন্তু সম্প্রতি অন্য আর একজনের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি হওয়ায় তার সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করে নেয় ওই অধ্যাপক। অভিযোগ বিষয়টি নিয়ে সে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও পুলিশের দ্বারস্থ হলেও কোনও কাজ হয়নি। অবশেষে বাংলাদেশ দূতাবাসের দ্বারস্থ হয় সে। অভিযোগ পেয়েই মহিলা কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করে বাংলাদেশী দূতাবাস । তাদের আবেদনে সাড়া দিয়ে অবশেষে শনিবার দুর্গাপুর পৌঁছয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধি দল। বর্তমানে দুর্গাপুরের একটি মহিলা হোস্টেলে রাখা হয়েছে নিগৃহীতা ছাত্রীকে। সেখানে তার সঙ্গে কথা বলেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি দুর্গাপুর মহিলা থানাতেও একটি অভিযোগ দায়ের হয়েছে। সেই বিষয়টি নিয়ে ও পুলিশের তদন্ত নিয়েও খোঁজ খবর নেন মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা। অবিলম্বে তারা পুরো বিষয়টি তদন্তে করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে একটি পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা দেবেন বলে জানান দুই মহিলা প্রতিনিধি।