সংবাদদাতা, আসানসোলঃ- ওদের জীবন যেন অন্য খাতে বয়ে চলেছে। কারণ ওরা থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত। বেঁচে থাকার জন্য নিয়মিত প্রয়োজন হয় রক্তের। আর রক্ত না মিললেই জীবন শঙ্কট। যে সময়টা পড়শুনা খেলা ধূলায় মেতে থাকার কথা সেই সময়টা ওরা কাটাচ্ছে বেঁচে থাকার লড়াই করে। রক্তের এই রোগ ছারখার করে দেয় বহু পরিবারকে। চিকিৎসায় এই রোগ সম্পূর্ণ সেরে ওঠে না। চিকিৎসার মাধ্য়মে ঠেকিয়ে রাখা যায়। তাই বলতে গেলে জীবন ভর বেঁচে থাকার জন্য লড়াই চালিয়ে যেতে হয় থ্যালাসেমিয়া আক্রান্তদের। মূলত বাবা-মায়ের থেকে সন্তানের শরীরে থ্যালাসেমিয়া রোগটি আসে। বিশেষজ্ঞদের মতে পরিবার পরিকল্পনার আগে ডাক্তার দেখিয়ে নির্দিষ্ট পদ্ধতি এবং চিকিৎসা মেনে চললে সন্তানের শরীরে থ্যালাসেমিয়া আসতে পারে না । তাই এই রোগ দূর করতে যেটা সবচেয়ে বেশী প্রয়োজন সেটা হল সচেতনতা। আজ, ৮ মে, বিশ্ব থ্যালাসেমিয়া দিবস। এই রোগ সম্পর্কে সাধারণ মনুষকে সচেতন করতে এই দিনটি বিশ্ব জুড়ে পালিত হয় প্রতিবছর।
তবে আসানসোল জেলা হাসপাতালে একটু অন্যভাবে পালন হল দিনটি। থ্যালাসেমিয়ায় আক্রান্ত শিশুদের নিয়ে উদযাপন করা হয় দিনটি। ছোট ছোট এই শিশুদের জীবনে একটু রঙের ছোঁয়া আনতে ওদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছিল বসে আঁকা প্রতিযোগীতার। প্রতিযোগীদের পুরস্কৃত করার পাশাপাশি ছিল উপহার ও খাওয়া দাওয়ারও ব্যবস্থা।
এই প্রসঙ্গে জেলা হাসপাতালের ব্লাড সেন্টারের ইনচার্জ চিকিৎসক সঞ্জিত চ্যাটার্জী জানান এই হাসপাতালে প্রায় ৩০০ থ্যালাসেমিয়া আক্রান্ত শিশু চিকিৎসা করাতে আসে। তাদের মধ্যে যার অনুষ্ঠানে আসতে পারবে এমন ৪০ জনকে নিয়েই এই বিশেষ দিনটি উদযাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ওরা যাতে নিজেদের সমাজ থেকে বঞ্জিত মনে না করে তাই ওদের সঙ্গে সুন্দর সময় কাটিয়ে দিনটি পালন করা হচ্ছে।