সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– আসানসোলে বিজেপির কম্বল বিতরণে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনায় মৃতদের পরিবারের হাতে ইতিমধ্যেই সাহায্য় অর্থ তুলে দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের তরফে। এবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে রবিবার ৬ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দল পোঁছে গেল দুর্ঘটনায় মৃত পরিবারদের কাছে। দিল পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস। অন্যদিকে এদিনই সাংবাদিক বৈঠক করে ওই বিপর্যয়ের পিছনে তৃণমূলের চক্রান্ত রয়েছে বলে দাবি করলেন ওই দিনের কম্বলদান অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্যোক্তা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি।
এদিন তৃণমূলের প্রতিনিধি দলে ছিলেন রাজ্যের নারী এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা, আইন মন্ত্রী মলয় ঘটক, পর্যটন মন্ত্রী তথা আসানসোলের প্রাক্তন সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং সেচ মন্ত্রী পার্থ ভৌমিক,বিধায়ক বিবেক গুপ্ত এবং যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ। এছাড়াও প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্য়ায় সহ দলের স্থানীয়রা নেতৃত্বরা। নিহতদের বাড়িতে গিয়ে তাঁদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি পরিবারের সদস্যদের হাতে ফলের ঝুড়ি একটি করে খামও তুলে দেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।
অন্যদিকে এদিন এক সাংবাদিক বৈঠক করে কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের বিপর্যের জন্য পাল্টা শাসক দলকেই দোষারোপ করেন ওই অনুষ্ঠানের অন্যতম উদ্য়োক্তা জিতেন্দ্র তিওয়ারি। পাশাপাশি ওই ঘটনার পিছনে শাসক দলের চক্রান্ত রয়েছে বলেও এদিন দাবি করেন তিনি। বৈঠকে তিনি বলেন, আমি খবর পেয়েছি কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠানের দিন সাতেক আগেই ব্লকে ব্লকে তৃণমূল নেতৃত্বকে মোমবাতি মিছিল করার জন্য প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু কিসের জন্য মিছিল তা জানানো হয়নি। ওরা আগে থেকে কীভাবে জানল এ ধরনের ঘটনা ঘটতে চলেছে? এছাড়া ওই অনুষ্ঠারে দিন তিনেক আগে স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব গোপনে বৈঠক করেছিল। সেই বৈঠকে কিকথা হয়েছিল তা সামনে আনা হোক। পাশাপাশি ওই দিনের কর্মসূচিতে যে সমস্ত পুলিশ কর্মচারীদের ডিউটি পড়েছিল তাদের মোবাইল ট্র্যাক করে দেখা হোক অনুষ্ঠানের সময় আদৌ তারা উপস্থিত ছিল কিনা। যদি উপস্থিত না থাকে তাহলে কার নির্দেশে তাঁরা ডিউটি না করে চলে গিয়েছিলেন? বিষয়গুলি সামনে আনা হোক। পাশাপাশি তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সফর ঘিরে কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি তিনি । তিনি দাবি করেন বিজেপি তৃণমূলের মতো ফটো তোলার রাজনীতি করে না।