সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– তৃণমূল ছাত্র পরিষদের আন্দোলনকে ঘিরে প্রকাশ্যে চলে এল আসানসোল কাজি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ে শাসক দলের দ্বন্দ্ব। তৃণমূল ছাত্র পরিষদ ও তৃণমূলের শিক্ষাবন্ধু সমিতির দ্বন্দ্বের জেরে সমস্যায় পড়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে আসা পড়ুয়ারা। মঙ্গলবার থমকে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের ভর্তি প্রক্রিয়া।
প্রসঙ্গত ছাত্রভর্তির টাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন আইনি লড়াইয়ের খাতে খরচ করা হয়েছে এই অভিযোগে গত সাত দিন ধরে উপাচার্য এবং রেজিস্ট্রারের দফতরে তালা দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। টিএমসিপি নেতৃত্বের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে আইনি খরচ বাবদ প্রায় ৭০ লক্ষ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। পাশাপাশি ওই টাকা কিভাবে খরচ করা হয়েছে, শ্বেতপত্র প্রকাশ করে উপাচার্যকে তা জানানোর দাবি জানিয়েছে আন্দোলনকারীরা।
অন্যদিকে এই আন্দোলনকে অনৈতিক বলে আখ্যা দিয়েছে তৃণমূলেরই শিক্ষাবন্ধু সমিতি। তৃণমূল ছাত্র সংগঠনের এই আন্দোলনকে ‘বহিরাগতদের আন্দোলন’ বলে অভিহিত করে মঙ্গলবার প্রশাসনিক ভবনের গেটের সামনে বিক্ষোভ অবস্থানে বসেন শিক্ষাবন্ধু সমিতির সদস্যেরা। তাদের অভিযোগ, রেজিস্ট্রার-সহ মহিলা শিক্ষাকর্মীদের হেনস্থা করা হয়েছে এবং ব্যক্তিস্বার্থ চরিতার্থ করতে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করা হচ্ছে। অন্যদিকে বর্ধমান জেলা তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সভাপতি অভিনব মুখোপাধ্যায় পাল্টা দাবি করেন,ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থেই তাদের এই আন্দোলন চলছে।
এদিকে দুই পক্ষের এই আন্দোলনের জেরে প্রশাসনিক কাজকর্ম বন্ধ হয়ে যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে। ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে এসে সমস্যায় পড়েন পড়ুয়ারা। যদিও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়ামক চন্দন কোনার জানিয়েছেন দ্রুত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে এবং মঙ্গলবার যে সব ছাত্রছাত্রীরা ভর্তি হতে পারেননি, তাদের জন্য অনলাইনে ভর্তির ব্যবস্থা করা হবে। অন্যদিকে এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেননি উপাচার্য ডাঃ দেবাশীষ বন্দোপাধ্যায়। তাঁর সঙ্গে এদিন ফোনেও যোগাযোগ করা যায়নি। ফলে টিএমসিপি ও তার পাল্টা শিক্ষা বন্ধু সমিতির আন্দোলন নিয়ে কোন প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি উপাচার্যের।