সংবাদদাতা, আসানসোলঃ– আসানসোল পৌরনিগমের ৩৮ এবং ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝে দক্ষিণ থানার ডামরা ওয়ার্কসপ এলাকায় বালি গাড়ি চলাচল নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন স্থানীয়রা। বুধবার সকালে প্রায় দশ বারোটি বালি গাড়ি আটকে রেখে চলল বিক্ষোভ। অভিযোগ স্থানীয় কাউন্সিলর ও তৃণমূল নেতাদের মদতে এলাকার মধ্যে দিয়ে যাতায়াত করছে ১২ ও ১৬ চাকার বালি গাড়ি। আর তার জেরে রাস্তার বেহাল দশা। অ্যাম্বুলেন্স সহ অন্য গাড়ি এলাকায় ঢুকতে চাইছে না। এমনকি অতিরিক্ত টাকা দিলেও বেহাল রাস্তার জেরে এলাকায় কোনও গাড়ি ঢুকছে না। গাড়ির পাশাপাশি মানুষের হাঁটার মতো অবস্থাতেও নেই রাস্তা। তার উপর দিন কয়েক আগে ভারি বালি গাড়ি চলার দরুণ এলাকার জল সরবরাহের পাইপ লাইনটি ফেটে যায়। তার ফলে একদিকে যেমন তীব্র জলসংকট দেখা দিয়েছে তেমনি জল কাদায় নরকে পরিণত হয়েছে ডামরা ওয়ার্কসপ এলাকার মূল রাস্তাটি। প্রতিবাদে এলাকার মহিলা সহ স্থানীয়রা এদিন সকাল থেকে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখায়। খবর পেয়ে এলাকায় ছুটে যান তৃণমূলের ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের সভাপতি মনোজ হাজরা। তিনি দাবি করেন তারা বহুবার বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি দলের উচ্চ নেতৃত্বকে জানিয়েছেন কিন্তু কাজের কাজ কিছু হয়নি। এদিকে স্থানীয় মানুষজন তাদেরকেই বালি গাড়ি চলাচলের জন্য দায়ী করছে। পাশাপাশি তিনি এও দাবি করেন ওই রাস্তা ১৪ ও ১৬ চাকা গাড়ি যাতায়তের জন্য নয় , তাও বালিভর্তি বালিগাড়ি যাতায়াতের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে বিক্ষোভের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছন ৩৮ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মীনা কুমারী হাঁসদা ও ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তরুণ চক্রবর্তী। দুজনেই দাবি করেন বিষয়টি তাঁরা দলের উচ্চ নেতৃত্বকে ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, যদিও তাতে কোনও কাজ হয়নি। এদিন মীনাদেবী দাবি করেন বিষয়টি তিনি জেলার শীর্ষ নেতা তথা তৃণমূলের রাজ্য সম্পাদক শিবদাসন দাশুকেও জানিয়েছিলেন। অতঃপর উচ্চ নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য এদিন স্থানীয়দের বিক্ষোভকে সমর্থন জানিয়ে স্পষ্ট ভাষায় তাঁরা জানিয়ে দেন দল ও প্রশাসনের উচু তলার লোক এসে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস না দেওয়া পর্যন্ত বালি গাড়ি আটকে রেখে আন্দোলন চালিয়ে যাবেন।