সংবাদদাতা,আসানসোলঃ– বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর কম্বলদান কর্মসূচিতে বিপর্যয়ের জেরে মৃত ও আহতদের পরিবারকে অর্থ সাহায্য করল রাজ্য সরকার। মৃত তিন জনের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহত ছয়জনের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হয়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আসানসোল মহকুমাশাসকের দফতরে নিহত ও আহতদের পরিবারের হাতে চেক তুলে দেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, মাঝারি ও বস্ত্র দফতরের মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিন্হা। উপস্থিত ছিলেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়, আসানসোলের মেয়র বিধান উপাধ্যায,চেয়ারম্যান অমরনাথ চ্যাটার্জী,ডেপুটি মেয়র অভিজিৎ ঘটক এবং জেলাশাসক এস অরুণপ্রসাদ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশই পশ্চিম বর্ধমান জেলার বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের তহবিল থেকে এই আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে।
অন্যদিকে ওই ঘটনায় আসানসোলের প্রাক্তন মেয়র তথা বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং তাঁর স্ত্রী তথা ২৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি তিওয়ারি সহ বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার রাতে অভিযোগ দায়ের হয় আসানসোল উত্তর থানায়। অভিযোগ দায়ের করেন ওই ঘটনায় প্রাণ হারানো ঝালি বাউরি (৫৫)-র ছেলে সুখেন বাউরি। তার ভিত্তিতে ওই কর্মসূচির অন্যতম আয়োজক আসানসোল পুরসভার বিরোধী নেত্রী চৈতালি-সহ বিজেপির কয়েক জন কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে মামলাও রুজু হয়েছে। তবে অভিযোগে নাম নেই বিরোধী দল নেতার। এছড়াও ওই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তিন জন গ্রেফতার হয়েছে। তাদের হেফাজতে নিয়ে তদন্তে গতি আনতে চাইছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, বুধবার সন্ধ্যায় আসানসোলের রামকৃষ্ণ ডাঙ্গালে ২৭ নাম্বার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর চৈতালি তেওয়ারী ও তাঁর স্বামী তথা প্রাক্তন মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারির উদ্যোগে শিবচর্চা নামে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অনুষ্ঠানে পাঁচ হাজারা কম্বলদানেরও কর্মসূচি নেওয়া হয়েছিল। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি তিন চার জনকে প্রতীকী কম্বল দান করে অনুষ্ঠান মঞ্চ ছাড়েন। এরপরই কম্বল নেওয়ার জন্য হুড়োহুড়ি পড়ে যায় ও পদপিষ্ট হয়ে এক নাবালিকা সহ দুই মহিলার মৃত্যু হয় ও ৬ জন আহত হন। অভিযোগ পাঁচ হাজার কম্বলদানের কর্মসূচি থাকলেও পুলিশের কাছে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি বা পুলিশের অনুমতি নেওয়া হয়নি।