সংবাদদাতা,আসানসোলঃ- প্রায় ৬০০ বছরের প্রাচীণ আসানসোলের কুলটি বিধানসভা অন্তর্গত নিয়ামতপুর গ্রামের কালী মন্দির। নিত্য় পুজো হলেও কার্তিক অমাবস্যায় কালী পুজোর রাতে ধুমধাম করে মায়ের বিশেষ পুজো হয়। তাই কালীপুজো উপলক্ষ্যে মন্দির চত্বরেই তৈরি হচ্ছে কালী প্রতিমা। আর এই প্রাচীন পুজো ঘিরে রয়েছে নানা অলৌকিক গাথা। স্থানীয়দের দাবি আজও অমাবস্যা রাতে শোনা যায় মায়ের নূপুরের শব্দ। তাই প্রচীন রীতি মেনে পুজোর সময় দেবীকে শেকল দিয়ে বেঁধে রাখা হয়।
জানা যায় শেরশাহ সুরির আমলে গড়ে উঠেছিল কুলটির নিয়ামতপুরের কালী মন্দির, গ্র্যান্ড ট্র্যাঙ্ক রোড তৈরির সময়। কথিত আছে ওই এলাকায় গ্র্যান্ড ট্র্যাঙ্ক রোডের পূর্ব দিকে ছিল পান্থশালা আর রোডের পশ্চিমে প্রান্তে গড়ে উঠেছিল এই কালী মন্দির। স্থানীয়দের মতে এই মন্দির ঘিরেই ক্রমে গড়ে উঠে নিয়ামতপুর গ্রামের জনপদ। আর দূর দূরান্ত থেকে আসা যাত্রীদের কাছে রাস্তার ধারের পান্থশালা ও মন্দিরই ছিল প্রাচীন নিয়ামতপুর গ্রামের চিহ্ন।
কথিত আছে পঞ্চমুণ্ডির আসনে সাধনায় সিদ্ধিলাভ করেই এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠা হয়। পরে পুরুলিয়ার কাশীপুরের রাজা এবং নিয়ামতপুরের গড়ে ওঠা জনপদের জমিদাররাই এই মন্দিরের সংস্কার করেন। এখানে প্রায় ১২ পুরুষ ধরে পূজিতা হচ্ছেন মা। কালীপুজোর রাতে আজও শতাধিক ছাগ বলি দেওয়ার রীতি আছে। আর দেবীকে পুষ্পাঞ্জলি দেওয়া হয় রক্ত দিয়ে।
ভক্তদের দাবী এখানে মা খুব জাগ্রত। মায়ের কাছে মন দিয়ে প্রার্থনা করলে, তিনি মনস্কামনা পূর্ণ করেন। তাই প্রতিদিনই ভক্তকুলের ভীড় জমে মন্দিরে। তবে কালীপুজোর রাতে মাকে পুজো দিতে, মায়ের কাছে মনস্কামনা জানাতে দূর দূরান্ত থেকে ছুটে আসেন ভক্তরা।




