সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কুলটি থানা ও নিয়ামত ফাঁড়ির পুলিশের বড়সড় সাফল্য। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রীতিমতো ধাওয়া করে আগ্নেয়াস্ত্র সহ ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে দুটি এসইউভি গাড়ি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সন্ধ্যার পরে কুলটি থানার নিয়ামতপুর ফাঁড়ির ডিউটি অফিসার গোপন সূত্রে থেকে খবর পান যে, ৬/৭ জন অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তি লছিপুরে নিষিদ্ধ পল্লীতে রাইফেল ও পিস্তল নিয়ে সন্দেহজনকভাবে চলাচল করছে। এর ফলে এলাকার লোকজনের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। এরপর এদিন রাতে কুলটি থানা ও নিয়ামতপুর ফাঁড়ির পুলিশ একযোগে নিষিদ্ধ পল্লীতে হানা দেয়। কিন্তু লছিপুর এবং সংলগ্ন এলাকায় তল্লাশি করে কাউকে পাওয়া যায়নি। এরপর রাত বারোটা নাগাদ পুলিশ দেখতে পায় দুটি কালো রঙের এসইউভি গাড়ি পুরানো জিটি ধরে নিয়ামতপুরের দিকে এগিয়ে চলেছে। পুলিশ দুটি গাড়ির চালককে গাড়ি থামানোর জন্য বললেও তারা পালানোর চেষ্টা করে। পুলিশ তাদের ধাওয়া করে। জিটি রোডে কিছুক্ষণ ধাওয়া করার পরে লছিপুরের দিশা ৩ নম্বর গেটের সামনের রাস্তায় দুটি গাড়িকে আটকায় পুলিশ। দুটি গাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একটি রাইফেল, একটি ৯ এমএম পিস্তল ,৬ রাউন্ড কার্তুজ ও নগদ ৩৫ হাজার টাকা উদ্ধার হয়। দুটি গাড়ি থেকে মোট সাত জনকে গ্রেফতার করা হয়। বাজেয়াপ্ত করা হয় গাড়ি দুটি ও ধৃতদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন।
ধৃতদের মধ্যে একজন বিহারের জামুই জেলার বাসিন্দা। বাকি ৬ জন ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ ও সিংভুম জেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা। ধৃতরা হল ভিকি কুমার ওরফে সিং, রাহুল কুমার সাহু, হেমন্ত কুমার ওরফে সুধাংশু,ভিকি বনশল, অর্চিত কেশরি, আকাশ জিন্দাল ও রোশন সিং।
ধৃতরা কেন আগ্নেয়াস্ত্র সহ নিষিদ্ধ পল্লীতে এসেছিলো তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে শনিবার ধৃতদেরকে আসানসোল আদালতে পেশ করে চারজনকে নিজেদের হেফাজতের নেয় পুলিশ।