সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- বাইক চুরির ঘটনার তদন্তে নেমে বড়সড় সাফল্য পেল আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানিগঞ্জ থানার পুলিশ। সিসিটিভির ফুটেজের সূত্র ধরে দু’জনকে গ্রেফতার করে,হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে গোপন ডেরা থেকে উদ্ধার করা হল পাঁচটি চোরাই মোটরবাইক।
বুধবার আসানসোল দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের রানিগঞ্জ থানার ইন্সপেক্টর ইনচার্জ বিকাশ দত্ত সংবাদিক বৈঠক করে পুরো বিষয়টি তুলে ধরেন।
প্রসঙ্গত, রানিগঞ্জ থানার শিশু বাগান এলাকায় গত ১০ জুলাই প্রসেনজিৎ রুজ নামের এক ব্যক্তির একটি মোটর বাইক চুরি যায়। এরপরে রানীগঞ্জের পাঞ্জাবি ফাঁড়ি এলাকার সিয়ারসোল রাজবাড়ি মোড়ের এসবিআই এটিএমের সামনে থেকে ১৭ জুলাই শান্তনু মুখোপাধ্যায় নামে আরো এক ব্যক্তির মোটর বাইক চুরি হয়। দুটি ঘটনা রানিগঞ্জ থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপর রানিগঞ্জ থানার পুলিশ এই দুটি ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে। তাতে ঝাড়খণ্ডের ধানবাদ জেলার নিরসা থানার মোগমা এরিয়ার কাঞ্চনডিহির বাসিন্দা ফাইজান আনসারি নামে বছর ২১ র এক যুবককে সনাক্ত করা হয়। তার উপর নজরদারি করে দেখা যায় সে রানিগঞ্জেরই নবীনগরের বাসিন্দা মহঃ রাজনের সঙ্গে রানিগঞ্জ শহরের বিভিন্ন এলাকায় ঘুরছে। এরপরই পুলিশ তাদের পাকড়াও করে। তাদের সঙ্গে একটি মোটরবাইক ছিলো। সেটি ঝাড়খণ্ডের গিরিডি এলাকা থেকে চুরি করা বাইক বলে পুলিশ জানতে পারে। এরপর পুলিশ তাদের আদালতে পেশ করে হেফাজতে নেয় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জিজ্ঞাসাবাদ থেকে তথ্য পেয়ে আরও চারটি চুরি যাওয়া বাইক উদ্ধার করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ধৃতরা দুর্বল বা আলগা হয়ে যাওয়া লক লক্ষ্য করার পরেই সেই সব মোটরবাইককে টার্গেট করে ও চুরি করতো। পরে সেই চুরি করা মোটরবাইক পশ্চিমবঙ্গ থেকে বিহার ও ঝাড়খন্ডে পাচার করতো। একইভাবে বিহার ও ঝাড়খণ্ডের চোরাই মোটরবাইক পশ্চিমবঙ্গে নিয়ে আসতো। বহু ক্ষেত্রে এইসব মোটরবাইকের নম্বর প্লেটও বদল করা হতো।
ধৃতদের সঙ্গে বড় কোনো বাইক চুরিচক্রের যোগ রয়েছে কিনা সে বিষয়েও খোঁজ শুরু হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।





