সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– ক্ষতিপূরণের দায় এড়াতে সরকার সিলিকোসিস রোগীকে যক্ষা রোগী হিসেবে চালাতে চাইছে। এমনই অভিযোগ তুলে ও সিলিকোসিস আক্রান্তদের পরিচয়পত্র দেওয়ার দাবি জানিয়ে আন্দোলনের হুমকি দিলেন আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল।
প্রসঙ্গত সিলিকোসিস রোগে আক্রান্ত হয়ে হয়ে গত দুদিন ধরে আসানসোল জেলা হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি রয়েছেন সালানপুরের বাসিন্দা যুবক মণিলাল হেমব্রম। তাঁর শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট সংকটজনক বলে জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার সকালে জেলা হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে যান আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল। সেখানে তিনি যুবকের স্ত্রী ও পরিবারে সঙ্গে কথা বলে পাশে থাকার আশ্বাসও দেন। এদিন বিধায়কের সঙ্গে ছিলেন বিজেপির আসানসোল সাংগঠনিক জেলার সম্পাদক অভিজিৎ রায়।
পরে সাংবাদিকদের সাথে এই বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিধায়ক বলেন, “মণিলাল হেমব্রম সিলিকোসিসে ভুগছেন। কিন্তু রাজ্য সরকার এটা মেনে নিতে রাজি নয়, যে সালানপুরের মানুষেরা সিলিকোসিসে ভুগছে। সরকার এই সিলিকোসিসকে যক্ষা বলে চালানোর চেষ্টা করছে। কারণ, কেউ যদি সিলিকোসিসে আক্রান্ত হয় এবং যদি সে মারা যান তবে রাজ্য সরকারকে তার দায় নিতে হবে এবং তার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। যদি তার নাবালক সন্তান থাকে তবে তাদের জন্য দায়ভার বহন করতে হবে। রাজ্য সরকার তা করতে চায় না। তাই রাজ্য সরকার বারাবনি বিধানসভা কেন্দ্রের সালানপুর এলাকায় ক্রাশারের কারণে সৃষ্টি হওয়া সিলিকোসিস রোগটি গোপন করতে চায়।” পাশাপাশি তিনি সালানপুর এলাকার সকল সিলিকোসিস আক্রান্তদের পরিচয়পত্র দেওয়ার দাবি জানান। অন্যদিকে সালানপুর এলাকায় দূষণ নিয়ন্ত্রণ হয় না বলেও এদিন অভিযোগ তোলেন বিধায়ক। অবিলম্বে রাজ্য সরকার সালানপুর এলাকার সিলিকোসিস রোগী ও দূষণ নিয়ন্ত্রণে ব্যবস্থা না নিলে জেলাশাসক অফিস ঘেরাও করে আন্দোলনে নামার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।
বিজেপি বিধায়ক এদিন আসানসোল জেলা হাসপাতালের পাশাপাশি আসানসোলে জেলা শ্রম দপ্তরে লেবার কমিশনার ও জেলা স্বাস্থ্য ভবনে সিএমওএইচের সঙ্গে দেখা করে কথা বলেন।





