রামকৃষ্ণ চ্যাটার্জ্জী, আসানসোল-: এলাকায় তার পরিচয় একজন ছাত্রদরদী শিক্ষাবিদ তথা সমাজসেবী রূপে। আসানসোলের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। জনপ্রিয় নর্থ পয়েন্ট স্কুল ও পার্বতী এডুকেশনাল সোসাইটির চেয়ারম্যান হলেন শচীন রায়। এরকম একজন মহান ব্যক্তির জন্মদিনটি স্মরণীয় করে তোলার জন্য প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জামুরিয়ায় চাঁদার স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজন করা হয় স্বেচ্ছায় রক্তদান ও স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরের। পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধ করার জন্য বৃক্ষরোপণ কর্মসূচিও পালন করা হয়।
দুর্গাপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালের ব্লাড ব্যাংক শাখার সহযোগিতায় শিবির থেকে ১১০ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা। সংগৃহীত রক্ত সংশ্লিষ্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের হাতে তুলে দেওয়া হয়। স্বাস্থ্য পরীক্ষা শিবিরে ৩০০ জন ব্যক্তি তাদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা করান। এছাড়া স্কুল প্রাঙ্গণে ২৫ টি বৃক্ষচারা রোপণ করা হয়।
রক্তদাতাদের উৎসাহ দেওয়ার জন্য শিবিরে উপস্থিত ছিলেন আসানসোল রামকৃষ্ণ মিশনের অধ্যক্ষ স্বামী ভারুপানন্দ জি মহারাজ, বিদ্যালয় পরিচালন সমিতির সভাপতি মিতা রায় সহ গৌরব রায়, শিল্পা সরকার, স্বপন চৌধুরী, বিনোদ গুপ্ত, সতপাল সিং কির পিঙ্কি এবং আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুলের অধ্যক্ষ রাজীব সাউ সহ স্কুলের সকল শিক্ষক-শিক্ষিকা, শিক্ষা কর্মী, পড়ুয়া ও অভিভাবকরা।
এর আগে উপস্থিত বিশিষ্ট ব্যক্তিরা শচীন রায়ের প্রয়াত পিতা পার্বতী চরণ রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। রক্তদান আন্দোলনের অন্যতম উদ্যোক্তা প্রবীর ধর শচীন রায়কে ‘রক্তবীর’ সম্মাননা প্রদান করেন এবং ‘কার্ল ল্যান্ডস্টেইনার’ পুরস্কারে ভূষিত করেন।
প্রবীর বাবু বলেন, রক্তের ঘাটতি মেটানোর জন্য এই শচীন রায় পরিচালিত সমস্ত প্রতিষ্ঠান রক্তদান শিবিরের আয়োজন করে থাকে। তার এই অসামান্য অবদানের জন্য তাকে এই সম্মাননা প্রদান করা হলো।
এরপর স্কুলের সেমিনার হলে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। যেখানে স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা অংশগ্রহণ করে।
শচীন রায়কে তার জন্মদিনে অভিনন্দন জানিয়ে স্বামী মহারাজ ঈশ্বরের কাছে তার দীর্ঘায়ু ও উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য প্রার্থনা করেন। তিনি বলেন, শিক্ষা প্রতিটি মানুষের অধিকার। সেখানে শচীন রায় এবং তার পুরো দল শিশুদেরকে শিক্ষিত করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করছেন। শচীন রায়ের পক্ষ থেকে রামকৃষ্ণ মিশনকে এক লক্ষ টাকা এবং আসানসোলের থ্যালাসেমিয়া গ্রুপকে ২৫ হাজার টাকার চেক অনুদান হিসাবে দেওয়া হয়। সমাজকল্যাণে বিশেষ অবদান রাখার জন্য উপস্থিত চিকিৎসক ও বিশিষ্ট অতিথিদের সম্মানিত করা হয়।
জন্মদিনে তাকে আশীর্বাদ করতে আসার জন্য স্বামী মহারাজের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শচীন বাবু বলেন, জন্মদিনে এটা আমার বড় পাওনা। আসানসোল নর্থ পয়েন্ট স্কুলের ছাত্র কল্যাণ চট্টোপাধ্যায় ‘নিট’ পরীক্ষায় সারা দেশে শীর্ষস্থান অর্জন করার জন্য তিনি স্কুলের সমস্ত শিক্ষকদের ধন্যবাদ জানান এবং বলেন এদের অক্লান্ত পরিশ্রমে জন্যেই এটি সম্ভব হয়েছে। অনুষ্ঠানের শেষে তিনি কেক কেটে উপস্থিত সকলের সাথে জন্মদিনটি পালন করেন।





