সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ– বাবার বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে আসানসোলে। বার্নপুর স্টেশনের পুরুলিয়া – আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার ট্রেন থেকে ১১ বছর বয়সী ঝাড়খণ্ডের নাবালককে উদ্ধার করল আরপিএফ। পরে তাকে শিশু কল্যাণ কমিটির হাতে তুলে দেওয়া হয়।
ঘটনা সূত্রে জানা যায় গতকাল ‘অপারেশ সিঁদুর’-এর মাধ্যমে ভারতীয় সেনার পাকিস্তানে প্রত্যাঘাত করার পর দেশজুড়ে হাই এলার্ট জারি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। জনবহুল এলাকাগুলিতে সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তল্লাশি ও নজরদারি শুরু হয়। সেই কর্মসূচি অনুসারে এদিন বার্নপুরে স্টেশনে তল্লাশি চালাচ্ছিলেন আরপিএফের জওয়ানরা। এদিন বিকেলে স্টেশনের ২ নম্বর প্ল্যাটফর্মে পুরুলিয়া – আসানসোল মেমু প্যাসেঞ্জার পৌঁছলে ওই ট্রেনেও তল্লাশি শুরু হয়। সেই সময় এক আরপিএফ আধিকারিক ইঞ্জিনের পরের কোচে ওই নাবলককে ভীত ও নার্ভস হয়ে বসে থাকতে দেখে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে নাবালক জানায় তার বাড়ি ঝাড়খণ্ডের দেওঘর জেলার দেবীপুর থানার বিরনিয়া গ্রামে। সে তার বাবার বকুনি খেয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসেছে ।
এরপরই ওই নাবালককে উদ্ধার করে স্টেশনে নিয়ে যাওয়া হয় ও তার খাওয়া দাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় আসানসোলের শিশু কল্যাণ কমিটিকে। পরে পরবর্তী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ওই নাবালককে শিশু কল্যাণ কমিটির সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়।





