সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- গৃহস্থ বাড়িতে ঢুকে পড়ল পূর্ণ বয়স্ক হায়না। ঘটনাকে ঘিরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় আসানসোলের সালানপুর থানার অন্তর্গত সালানপুর গ্রামে। দীর্ঘ প্রচেষ্টার পর বনকর্মীরা হায়নাটিকে উদ্ধার করে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায় গত শুক্রবার রাতে সালানপুর গ্রামের বাসিন্দা ইসিএলের প্রাক্তন কর্মী নিমাই প্রামাণিকের বাড়ির উঠনো দুটি হায়নার দেখা মেলে। পরিবারের লোকজন ভয় পেয়ে হয়না দুটিকে তাড়ানোর চেষ্টা করলে একটি পালিয়ে গেলেও অন্যটি বাড়িরই একটি ঘরে ঢুকে যায়। এরপরই ঘরের বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দেন পরিবারের সদস্যরা। সারা রাত ওই ঘরের একটি খাটের তলায় লুকিয়ে থাকে হায়নাটি। সকাল হতেই খবর দেওয়া হয় রূপনারায়ণপুরে বন দপ্তরের।
অন্যদিকে বাড়িতে হায়না ঢোকার খবর জানাজানি হতেই ভিড় জমে যায়। এমনকি ভিড় সামলাতে এলাকায় পৌঁছে যায় পুলিশ। পাশাপাশি বনদপ্তরের কর্মীরাও জাল ,খাঁচা নানা সরঞ্জাম নিয়ে পৌঁছন। কিন্তু হায়নাটিকে খাঁচাবন্দি করতে রীতিমতো বেগ পেতে হয় তাদের। দীর্ঘক্ষণ ঘরের দরজার বাইরে খাঁচা পেতে অপেক্ষা করার পরও হায়নাটি খাটের নিচ থেকে বেরিয়ে না আসায় বাধ্য হয়ে ঘরের জানালা দিয়ে ছোট পটকা ফাটানো হয়। এতে ভয় পেয়ে খাটের তলা থেকে বেরিয়ে হায়নাটি দরজা দিয়ে পালাতে গিয়ে খাঁচার ভেতরে ঢুকে যায়। দীর্ঘ প্রায় ১৮ ঘণ্টা বন্দি থাকার পর শনিবার বিকেলে হায়নাটিকে উদ্ধার করতে সক্ষম হন বনকর্মীরা। বনদপ্তর সূত্রে জানা গেছে হায়নাটির স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পর্যবেক্ষণের পর বর্ধমানের চিড়িয়াখানায় পাঠানো হবে।
অন্যদিকে এদিনের হায়না উদ্ধারের বিষয়ে রেঞ্জ অফিসার শ্রী শিকদার বলেন, সাধারণত অত্যন্ত লাজুক প্রকৃতির এই হায়না মানুষজনের সামনাসামনি হতে চায় না। এরা মানুষের ক্ষতি করে না। তবে খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। প্রসঙ্গত দিন ১৫ আগে খুদিকা গ্রামে একটি হায়নার দেখা মিলেছিল।










