সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- সংকটের মধ্যে আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। জেলা হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু ফায়ার এক্সটিংগুইজার বা অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রের ডেট এক্সপায়ারি বা মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গেছে। এগিুলি প্রায় ৮ মাস ধরে অকেজো হয়ে পড়ে রয়েছে । ফলে বর্তমানে হাসপাতালে কোনোভাবে আগুন লাগলে তৎক্ষণাত তা নেভানোর কোনো ব্যবস্থা নেই। এই পরিস্থতিতে রীতিমতো আতঙ্কিত হাসপাতালের চিকিৎসক, নার্স, কর্মচারীরা। পাশাপাশি রোগীদেরকেই বা কীভাবে সুরক্ষা দেওয়া হবে, তা নিয়েও রীতিমতো উদ্বিগ্ন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কলকাতায় ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনকে জানিয়েছে বলে সরকারি একটি সূত্র থেকে জানা গেছে। এও জানা গেছে, একাধিকবার ওই কর্পোরেশনে খবর দেওয়া হয়েছে। যদিও আজ পর্যন্ত জেলা হাসপাতালের অগ্নিনির্বাপক ব্যবস্থাটি কার্যকর করার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
এই ব্যাপারে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ মহঃ ইউনুস খান বলেন, “আমি নিজে ইতিমধ্যেই কর্পোরেশনকে বিষয়টি জানিয়ে ব্যবস্থা নিতে বলেছি। পুজোর ছুটির পরে অফিস খুললেই আবারও কর্পোরেশনকে চিঠি লিখে, দ্রুত ব্যবস্থা নিতে বলবো।”
এখানে প্রসঙ্গত উল্লেখ্য সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের দেখভালের দায়িত্ব পিডব্লিউডি বা রাজ্য পূর্ত দপ্তরের নয়। এই দায়িত্ব ওয়েষ্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল সার্ভিস কর্পোরেশনের।
প্রসঙ্গতঃ আসানসোল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে এই মুহুর্তে শয্যা সংখ্যা সাড়ে ৫০০ র মতো। কিন্তু সেখানে রোগীর সংখ্যা প্রতিদিন গড়ে সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ পর্যন্ত পৌঁছে যায়। এর সঙ্গে আছে, আউটডোর ও বিভিন্ন বিভাগ। এই অবস্থায় আচমকা আগুন লাগলে রোগী থেকে স্বাস্থ্য কর্মী সকলেরই চরম বিপদ হতে পারে।