সন্তোষ কুমার মণ্ডল,আসানসোলঃ- চলতি বছরে উন্নত মানের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রের সংখ্যায় দেশে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে বাংলা। প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে যথাক্রমে তামিলনাড়ু ও গুজরাত। খোদ কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে জানা গিয়েছে এই তথ্য। আবার বাংলার এই সাফল্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে আসানসোল জেলা হাসপাতাল। চিকিৎসা পরিষেবা ও ব্যবস্থাপনায় ( কোয়ালিটি ম্যানেজমেন্ট বা গুণগত মান) সার্বিক বিচারে কেন্দ্রীয় স্তরের তিনটি প্রকল্পে সেরার শিরোপা পেয়েছে জেলার এই মাল্টি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। সম্প্রতি আসানসোল জেলা হাসপাতালকে কেন্দ্রীয় সরকার এনকোয়াস (ন্যাশনাল কোয়ালিটি অ্যাসিওরেন্স স্ট্যান্ডার্ডস), লক্ষ্য(প্রসূতি চিকিৎসায় শংসাপত্র) ও মুসকান(শিশুদের চিকিৎসায় শংসাপত্র) – এই তিনটি প্রকল্পে শংসাপত্র বা সার্টিফিকেট প্রদান করেছে।
যাদের জন্য এই শিরোপা ছিনিয়ে নিতে পেরেছে হাসপাতাল, শনিবার তাঁদের সংবর্ধিত করে স্বাস্থ্য দপ্তর ও আসানসোল জেলা হাসপাতাল। এদিন জেলা হাসপাতালেই একটি বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। সেখানেই সংর্ধনা দেওয়া হয় হাসপাতাল কর্মী ও চিকিৎসকদের। পাশাপাশি এদিন জেলা হাসপাতালের বিদ্যুৎ বিভাগ, আসানসোল দক্ষিণ থানা, পিডব্লিউডি বা পূর্ত দপ্তরের সিভিল ও ইলেকট্রিক সহ ২৩ টি বিভাগের স্থায়ী ও অস্থায়ী কর্মচারীদেরও সম্মান জানানো হয়।
এই প্রসঙ্গে ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস বলেন, “আসানসোল জেলা হাসপাতালের এই কৃতিত্ব শুধু আসানসোল জেলা হাসপাতালের চিকিৎসকদের নয়, এতে হাসপাতালের স্থায়ী ও অস্থায়ী সমস্ত কর্মীদের অবদান রয়েছে। এ কারণেই এদিন তাদের সম্মানিত করা হলো।” তিনি আরো বলেন, “এই শিরোপা অর্জনে বিদ্যুৎ বিভাগ, পুলিশ প্রশাসন সহ অন্যান্য দপ্তরেরও সমান অংশগ্রহণ রয়েছে।” তারজন্য তিনি সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
এদিনের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে পশ্চিম বর্ধমান জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক বা সিএমওএইচ ডাঃ ইউনুস জেলা হাসপাতালের সুপার ডাঃ নিখিল চন্দ্র দাস, ডেপুটি সুপার, এ্যাসিসটেন্ট সুপার, চিকিৎসক, নার্স সহ স্থায়ী ও অস্থায়ী সকল কর্মচারীদের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, “এই শংসাপত্র তিন বছরের জন্য পাওয়া গেছে। তাই আসানসোল জেলা হাসপাতালের সাথে যুক্ত প্রত্যেককে এই মান বজায় রাখার জন্য প্রচেষ্টা করতে হবে। তবেই এই সার্টিফিকেটের সঠিক মূল্যায়ন হবে।”
অন্যদিকে স্বাস্থ্যভবন সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের এই শংসাপত্র অর্জন করা মোটেই মুখের কথা নয়। ভিন রাজ্যের পরিদর্শকরা খুঁটিয়ে দেখেন পরিষেবা ও অন্যান্য খুঁটিনাটি বিষয়। তারপরই দেশের সরকারি হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলিকে এই শংসাপত্র প্রদান করে কেন্দ্রীয় সরকার।